পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (একাদশ খণ্ড) - সুলভ বিশ্বভারতী.pdf/৪৫৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

88O রবীন্দ্র-রচনাবলী নবম পরিচ্ছেদ বিধু । আমার উপর রাগ কর যা কর, ছেলের উপর কোরো না । তোমার পায়ে ধরি, এবারকার মতো তার দেনাটিা শোধ করে দাও । মন্মথ । আমি রাগারগি করছি নে, আমার যা কর্তব্য তা আমাকে করতেই হবে । আমি সতীশকে বার বার বলেছি, দেনা করলে শোধবার ভার আমি নেব না । আমার সে কথার অন্যথা হবে না । বিধু। ওগো, এতবড়ো সত্যপ্রতিজ্ঞ যুধিষ্ঠির হলে সংসার চলে না । সতীশের এখন বয়স হয়েছে, তাকে জলপানি যা দাও তাতে ধার না করে তার চলে কী করে বলে দেখি । মন্মথ । যার যেরূপ সাধা তার চেয়ে চাল বড়ো করলে কারোই চলে না- ফকিরেরও না, were a বিধু । তবে কি ছেলেকে জেলে যেতে হবে । মন্মথ । সে যদি যাবার আয়োজন করে এবং তোমরা যদি তার জোগাড় দাও। তবে আমি ঠেকিয়ে রাখব কী করে । শশধর । আমাকে এ বাড়িতে দেখলে মন্মথ ভয় পায় । ভাবে, কালো কোর্তা ফরমাশ দেবার জন্য ফিতা হাতে তার ছেলের গায়ের মাপ নিতে এসেছি । তাই কদিন আসি নি । আজ তোমার চিঠি পেয়ে সুকু কান্নাকাটি করে আমাকে বাড়িছাড়া করেছে । বিধু। দিদি আসেন নি ? শশধর । তিনি এখনই আসবেন । ব্যাপারটা কী । বিধু । সবই তো শুনেছি। এখন ছেলেটাকে জেলে না দিলে ঔর মন সুস্থির হচ্ছে না । রাঙ্কিন-হার্মানের পোশাক তার পছন্দ হল না, জেলখানার কাপড়টাই বোধ হয় তার মতে বেশ সুসভা । শশধর । আর যাই বল মন্মথকে বোঝাতে যেতে আমি পারব না । তার কথা আমি বুঝি নে, আমার কথাও সে বোঝে না, শেষকালে বিধূ। সে কি আমি জানি নে । তোমরা তো তার স্ত্রী নও যে মাথা হেঁট করে সমস্তই সহ্য করবে । কিন্তু এখন এ বিপদ ঠেকাই কী করে । শশধর । তোমার হাতে কিছু কি বিধু । কিছুই নেই- সতীশের ধার শুধতে আমার প্রায় সমান্ত গহনাই বাধা পড়েছে, হাতে কেবল बाठाgछा७ा ख्याgछ । সতীশের প্রবেশ শশধর । কী সতীশ, খরচপত্র বিবেচনা করে কর না, এখন কী মুশকিলে পড়েছ দেখো দেখি । সতীশ । মুশকিল তো কিছুই দেখি নে । শশধর । তবে হাতে কিছু আছে বুঝি ! ফাস কর নি । সতীশ । কিছু তো আছেই। scक्ष । कठ ? সতীশ । আফিম কেনবার মতো । বিধু । (কঁদিয়া উঠিয়া ) সতীশ, ও কী কথা তুই বলিস। আমি অনেক দুঃখ পেয়েছি, আমাকে আর ମ୩ (ଗ । শশধর । ছিছি, সতীশ । এমন কথা যদি-বা কখনো মনেও আসে। তবু কি মায় সামনে উচ্চারণ করা যায় । বড়ো অন্যায় কথা ।