পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (একাদশ খণ্ড) - সুলভ বিশ্বভারতী.pdf/৪৬২

Tree 886 সতীশ । কিছু না, কিছু না । কী করতে হবে বলো, আমি এখনই করছি। সুকুমারী । খোকার জন্য সাড়ে সাত গজ রেনবো সিল্ক চাই- আর একটা সেলার সুট সতীশের প্রস্থানোদ্যম শোনো শোনো, ওর মাপটা নিয়ে যেয়ো, জুতো চাই । সতীশ প্ৰস্থানোমুখ অত ব্যস্ত হচ্ছে কেন— সবগুলো ভালো করে শুনেই যাও । আজও বুঝি ভাদুডি-সাহেবের কটি বিস্কট খেতে যাবার জন্য প্ৰাণ ছটফট করছে। খোকার জন্যে ষ্ট্র-হ্যাট এনো- আর তার রুমালও এক ७&झन्म 52 । সতীশের প্রস্থান । তাহাকে পুনরায় ডাকিয়া শোনো সতীশ, আর-একটা কথা আছে । শুনলাম, তোমার মেসোর কাছ হতে তুমি নুতন সুট কেনবার জন্য আমাকে না বলে টাকা চেয়ে নিয়েছ । যখন নিজের সামর্থ হবে তখন যত খুশি সাহেবিয়ানা কোরো, কিন্তু পরের পয়সায় ভাদুডি-সাহেবদের তাক লাগিয়ে দেবার জন্য মেসোকে ফতুর করে দিয়ে না । সে টাকাটা আমাকে ফেরত দিয়ে । আজকাল আমাদের বড়ো টানাটানির সময় । সতীশ । আচ্ছা, এনে দিচ্ছি । সুকুমারী ! এখন তুমি দোকানে যাও, সেই টাকা দিয়ে কিনে বাকিটা ফেরত দিয়ে । একটা হিসাব বাখতে ভুলো না যেন । শোনো সতীশ, এই কটা জিনিস কিনতে আবার যেন আড়াই টাকা গাডিভাড়া লাগিয়ে বোসো না । ঐ জানো তোমাকে কিছু আনতে বলতে ভয় করে । দু পা হেঁটে চলতে হলেই অমনি তোমার মাথায় মাথায ভাবনা পড়ে— পুরুষমানুষ এত বাবু হলে তো চলে না ! তোমার বাবা রোজ সকালে নিজে ঠোঁটে গিয়ে নতুন বাজার হতে কই মাছ কিনে আনতেন- মনে আছে তো ? মুটেকেও তিনি এক পয়সা দেন নি । সতীশ । তোমাব উপদেশ মনে থাকবে- আমিও দেব না । আজ হতে তোমার এখানে মুটেভাড়া বেহাবার মাইনে যত অল্প লাগে। সে দিকে আমার সর্বদাই দৃষ্টি থাকবে । ত্ৰয়োদশ পরিচ্ছেদ হারেন । দাদা, তুমি অনেকক্ষণ ধরে ও কী লিখছি, কাকে লিখছ বলো-না । সতীশ । যা যা, তোর সে খবরে কাজ কী, তুই খেলা কর গে যা। হরেন । দেখি-না। কী লিখছ- আমি আজকাল পড়তে পারি । সতীশ । হবেন, তুই আমাকে বিরক্ত করিস নে বলছি- যা তুই । হারেন । ভয়ে আকার ভা, ল, ভাল, বয়ে আকার বা, সয়ে আকার সা, ভালোবাসা । দাদা, কী ভালোবাসার কথা লিখছ বলো-না। তুমিও কাচা পেয়ারা ভালোবাস বুঝি । আমিও বাসি । সতীশ । আঃ হবেন, অত চেচাস নে, ভালোবাসার কথা আমি লিখি নি । হরেন । আঁ্যা ! মিথ্যা কথা বলছি ! আমি যে পড়লেম ভয়ে আকার ভা, ল, ভাল, বয়ে আকার সয়ে D DDBDBBSS DBDS BD DBSBDD BKLLD S সতীশ । না না, মাকে ডাকতে হবে না। লক্ষ্মীটি, তুই একটু খেলা করতে যা, আমি এইটে শেষ করি ।