পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (একাদশ খণ্ড) - সুলভ বিশ্বভারতী.pdf/৫৬২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

? S? ماه 2 এখানে 'বৎসর তিন মাত্রা । কিন্তু সেতারে মীড লাগাবার মতো অল্প একটু টানলে বেসুর লাগে না । 21. সখা-সনে উৎসবে বৎসর যায় শেষে মারি বিরহের ক্ষুৎপিপাসায় । ফাগুনের দিনশেষে মউমাছি ও যে মধুহীন বনে বুথা মাধবীরে খোজে । bन् गि 0 gगा गा-- উৎসবের রাত্রিশেষে মুৎ প্ৰদীপ হায়, দেখা যাচ্ছে, এটুকু কমিবেশিতে মামলা চলে না, বাংলাভাষার স্বভাবের মধ্যেই যথেষ্ট প্রশ্রয় আছে । যদি লেখা যেত। সখাসনে মহোৎসবে বৎসর যায় তা হলে নিযম বাচিত, কারণ পৰ্ববতী ওকাৱেব সঙ্গে খণ্ড ৎ মিলে এক মাত্রা , কিন্তু কৰ্ণধার বলছে ঐখানটায়। তরণী যেন একটু কান্ত হয়ে পডল ! আমি এক জায়গায় লিখেছি "উদয়-দিকপ্রান্ত-তলে । ওটাকে বদলে উদয়েব দিকপ্রান্ত-তলে লিখলে কানে খারাপ শোনােত না এ কথা প্ৰবন্ধলেখক বলেছেন, সালিসিব জনো কবিদের উপর বরাত দিলুম ! অপর পক্ষে দেখা যাক, চোখ ভুলিয়ে ছন্দের দাবিতে ফাকি চালানো যায় কি না । এখনই আসিলাম দ্বারে, () আমনই ফিবে চলিলাম । চোেখও দেখে নি কীভূ তারে, কানই শুনিল তার নাম । তোমাঝি’, ‘যখনি' শব্দগুলিব ই-কারকে বাংলা বানানে অনেক সময় বিচ্ছিন্ন করে লেখা হয়, সেই সুযোগ অবলম্বন কবে কোনো অলস কবি ওগুলোকে চার মাত্রার কোঠায় বসিয়ে ছন্দ ভরাট করেছেন কি না জানি নে, যদি করে থাকেন বাঙালি পাঠক তাকে শিরোপা দেবে না । ওদের উকিল তখন ‘বৎসব’ ‘উৎসব "দিকপ্রান্ত প্রভৃতি শব্দগুলির নজির দেখিয়ে তর্ক করবে। তার একমাত্র উত্তর এই যে, কান যেটাকে মেনে নিয়েছে কিংবা মেনে নেয় নি, চোখের সাক্ষা নিয়ে কিংবা বাধানিয়মের দোহাই দিয়ে সেখানে তর্ক তোলা অগ্ৰাহা । যে-কোনো কবি উপরের ছড়াটাকে অনায়াসে বদল করে লিখতে পারে। -- এখনি আসিনু তার দ্বারে, অমনি ফিরিয়া চলিলাম । চোখেও দেখিনি কতু তারে, কানেই শুনেছি তার নাম । ‘বৎসর’ ‘উৎসব প্রভৃতি শব্দ যদি তিন মাত্রার কোঠা পেরোতে গেলেই স্বভাবতই খুঁড়িয়ে পড়ত তা হলে তার স্বাভাবিক ওজন বাচিয়ে ছন্দ চালানো এতই দুঃসাধ্য হত যে, ধ্বনিকে এড়িয়ে অক্ষরগণনার আশ্রয়ে শেষে মান-বাচানো আবশ্যক হত । ওটা চলে বলেই চালানো হয়েছে, দায়ে পড়ে না । কেবল অক্ষর সাজিয়ে অচল রীতিকে ছন্দে চালানাে যদি সম্ভব হত তা হলে খোকাবাবুকে কেবল লম্বা টুপি পরিয়ে দাদামশায় বলে চালানো অসাধা হত না । (Gr. Sooty