পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (একাদশ খণ্ড) - সুলভ বিশ্বভারতী.pdf/৫৮৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

(ሱ $e‰ রবীন্দ্র-রচনাবলী শ্রাবণগগন, ঘোর ঘনঘটা, তাপসী যামিনী এলায়েছে জটা, দামিনী কালকে রহিয়া রহিয়া । এ ছন্দ বাংলা ভাষায় সুপরিচিত । তমালবনে ঝরিছে বারিধারা, তড়িৎ ছুটে আঁধারে দিশহারা । ছিড়িয়া ফেলে কিরণকিঙ্কিণী আত্মঘাতী যেন সে পাগলিনী । পঞ্চমাত্রাঘটিত এই বারো মাত্রাকেও কেন যে বারো মাত্রা বলে স্বীকার করব না, আমি বুঝতেই পারি (R | কেবল নয় মাত্রার পদ বলার দ্বারা ছন্দের একটা সাধারণ পরিচয় দেওয়া হয়, সে পরিচয় বিশেষভাবে সম্পূর্ণ হয় না। আমার সাধারণ পরিচয়, আমি ভারতীয় ; বিশেষ পরিচয়, আমি বাঙালি ; আরও বিশেষ পরিচয়, আমি বিশেষ পরিবারের বিশেষ নামধারী মানুষ । নয় মাত্রার পদবিশিষ্ট ছন্দ সাধারণভাবে অনেক হতে পারে । আরো বিশেষ পরিচয় দাবি করলে, এর কলাসংখ্যা এবং সেই কলার মাত্ৰাসংখ্যার হিসাব দিতে হয় । কোনো কোনো ছন্দে কলাবিভাগ করতে ভুল হবার আশঙ্কা আছে । যেমন- গগনে গরজে মেঘ, ঘন বরষা । পয়ারের ১৪ মাত্রা থেকে এক মাত্রা হরণ করে এই ১৩ মাত্রার ছন্দ গঠিত । অর্থাৎ "গগনে গরজে মেঘ, ঘন বরিষণ' এবং এই ছন্দটি বস্তুত এক, এমন মনে হতে পারে । আমি তা স্বীকার করি নে ; তার সাক্ষী শুধু কান নয়, তালও বটে। এই দুটি ছন্দে তালের ঘা পড়েছে কী রকম তা দেখা ऐeङि | S રે গগনে গরজে মেঘ | ঘন বরিষণ । সাধারণ পয়ারের নিয়মে এতে দুটি আঘাত । NR w গগনে গরজে মেঘ | ঘন বর | যা । এতে তিনটি আঘাত । পদটি তিন অসমান ভাগে বিভক্ত । পদের শেষবৰ্ণে স্বতন্ত্র ঝোক দিলে তবেই এর ভঙ্গিটাকে রক্ষা করা হয় । ‘বরযা’ শব্দের শেষ আকার যদি হরণ করা যায় তা হলে ঝোক দেবার জায়গা পাওয়া যায় না, তা হলে অক্ষরসংখ্যা সমান হলেও ছন্দ কান্ত হয়ে পড়ে । “তঁসাধার রজনী পোহালো' পদের অস্তবর্ণে দীর্ঘস্বর আছে, কিন্তু নয় মাত্রার ছন্দের পক্ষে সেটা অনিবাৰ্য নয় । তারই একটি প্রমাণ নীচে দেওয়া গেল । জেলেছে পথের আলোক সূৰ্যরথের চালক, अpeरg 66न । বক্ষে নাচিছে রুধির, কে রবে শান্ত সুধীর, (3 364 ** | সাগর-উমি বিলোল, R, কে রবে তাড়ামগন ।