পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (একাদশ খণ্ড) - সুলভ বিশ্বভারতী.pdf/৫৮৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

न् )? چه و এই তর্কক্ষেত্রে আর-একটি আমার কৈফিয়ত দেবার আছে। অমূল্যবাবুর নালিশ এই যে, ছন্দের দুষ্টান্তে কোনো কোনো স্থলে দুই পঙক্তিকে মিলিয়ে আমি কবিতার এক পদ বলে চালিয়েছি। আমার বক্তব্য এই লেখার পঙক্তি এবং ছন্দের পদ এক নয় । আমাদের হাঁটুর কাছে একটা জোড় আছে বলে আমরা প্রয়োজনমত পা মুড়ে বসতে পারি, তৎসত্ত্বেও গণনায় ওটাকে এক পা বলেই স্বীকার করি এবং অনুভব করে থাকি । নইলে চতুস্পদের কোঠায় পড়তে হয় । ছন্দোও ঠিক তাই সকল বেলা কাটিয়া গেল, বিকাল নাহি যায় । অমূল্যবাবু একে দুই চরণ বলেন, আমি বলি নে । এই দুটি ভাগকে নিয়েই ছন্দের সম্পূর্ণতা । যদি এমন 5ー সকল বেলা কাটিয়া গেল, বকুলতলে আসন মেলো তা হলে নিঃসংশয়ে একে দুই চরণ বলতুম | পুনর্বাের বলি যে, যে বিরামস্থলে পৌঁছিয়ে পদ্যছন্দ অনুরূপ ভাগে পুনরাবর্তন করে সেই পর্যন্ত এসে তবেই কোনটা কোন ছন্দ এবং তার মাত্রার পরিমাণ কত তার নির্ণয় সম্ভব, মাঝখানে কোনো একটা জোড়ের মুখে গণনা শেষ করা অসংগত । সংস্কৃত বা প্ৰাকৃত ছন্দশাত্রে এই নিয়মেরই অনুসরণ করা श् | पृष्ठोद्ध পৈঙ্গল-ছন্দঃসূত্রাণি ख्रक्किठा भब्नअobालदष्ट्र दिनिस्त्र গংজিঅ গুজরা । মালবরাআ মলঅগিরি লুক্তিআ পরিহরি কুংজরা । খুরাসাণ খুহিঅ রণমহ মুহিঅ লংঘিতম সাআরো । হস্ট্রিীর চলিঅ হারব পলিআ রিউগণহ কাতরা । গ্রন্থকার বলছেন “বিংশত্যক্ষরাণি এবং ‘পঞ্চবিংশতিমাত্ৰাঃ প্রতিপাদং দেয়াঃ । এর পদে পদে কুড়িটি অক্ষর ও পঁচিশটা মাত্রা, ছন্দের এই পরিচয় । পঢ়ম দহ দিজিআ পুণবি তহি কিজিআ পুণবি দহ সত্ত তহবিরই জাআ । এম পরি বিবিহুদল মত্ত সত্যতীস পল এহু কহ কুল্পণা পাঅরআ । ভাষ্যকারের ব্যাখ্যা এই : প্ৰথমং দশমাত্রা দীয়ন্তে । অৰ্থাৎ অত্র বিরতিঃ ক্রিয়তে । পুনরপি তথা কর্তব্য । পুনরপি সপ্তদশমাত্ৰাসু বিরতির্জাতা চ । অনয়ৈব সীতা দলৰয়েপি মাত্রা সপ্তাত্রিংশৎ পতন্তি । এমনি করে দলগুলিকে মিলিয়ে যে ছন্দের সাইক্লিশ মাত্রা তামিমাং নাগরাজঃ পিঙ্গলো কুল্লশমিতি কথয়তি । আমি যাকে ছন্দোবিশেষের রূপকল্প বা প্যাটরুন বলছি কুল্লাগা ছন্দে সেইটোসাইক্লিশ মাত্রায় সম্পূর্ণ, তার পরে তার অনুরূপ পুনরাবৃত্তি। অমূল্যবাবু হয়তো এর কথাগুলির প্রতি লক্ষ রেখে একে পাচ বা দশ মাত্রার ছন্দ বলবেন, কিন্তু পাচ বা দশ মাত্রায় এর পদের সম্পূৰ্শতা নয় ।