পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (একাদশ খণ্ড) - সুলভ বিশ্বভারতী.pdf/৬১৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

更阿 GS করতে হয় ; এই চুরিটুিকুতে পীড়াবোধ হয় না। যদি পরবতী স্বরটা হ্রস্ব থাকে । কিন্তু, পরবতী স্বরটাও যদি দীর্ঘ হয় তা হলে শব্দটার পায়া ভারী হয়ে পড়ে। হৃৎপিত্রে ঐকেছি। ছবিখানি আমি সহজে মঞ্জর করি, কারণ এখানে হৃং' শব্দের স্বরটি ছোটাে ও “পত্র শব্দের স্বরটি বড়ো। রসনা “হৎ’ শব্দ দ্রুত পেরিয়ে ‘পত্র’ শব্দে পুরো ঝোক দিতে পারে। এই কারণেই ‘দিকসীমা” শব্দকে চার মাত্রার আসন দিতে কুষ্ঠিত হই নে, কিন্তু "দিকপ্রান্ত শব্দের বেলা ঈষৎ একটু দ্বিধা হয়। শ্ৰীকৃষ্ণ বলেছেন, দরিদ্রািন ভর কৌন্তেয় । “দিকসীমা' কথাটি দরিদ্র, "দিকপ্রান্ত কথাটি পরিপুষ্ট । এ অসীম গগনের তীরে মৃৎকণা জানি ধারণীরে । “মৃৎকণা’ না বলে যদি "মৃৎপিণ্ড' বলা যায়। তবে তাকে চালিয়ে দেওয়া যায়, কিন্তু একটু যেন ঠেলতে হয়, তবেই চলে । भूठ-ख्वान 6 की भूक्षा রাখিয়াছ হে বসুধা । কানে বাধে না । কিন্তু भूठ-लाcorठ ७a झै भूषा ভরিয়াছ হে বসুধা । কিছু পীড়া দেয় না যে তা বলতে পারি নে। কিন্তু, অক্ষর গনতি করে যদি বল ওটা ইনভীডিয়সী। ডিসটিঙ্কশন, তা হলে চুপ করে যাব। কারণ, কান-বেচারা প্রিমিটিভ ইন্দ্ৰিয়, তর্কবিদ্যায় অপটু ৷ কীর্তিক ১৩৩৯ চিঠিপত্র জে. ডি. এন্ডার্সনকে লিখিত।” আপনি বলিয়াছেন, আমাদের উচ্চারণের ঝোকটা বাক্যের আরম্ভে পড়ে । ইহা আমি অনেকদিন পূর্বে লক্ষ্য করিয়াছি। ইংরাজিতে প্রত্যেক শব্দেরই একটি নিজস্ব ঝোক আছে। সেই বিচিত্র ঝোকগুলিকে নিপুণভাবে ব্যবহার করার দ্বারাই আপনাদের ছন্দ সংগীতে মুখরিত হইয়া উঠে। সংস্কৃত ভাষার ঝোক নাই। কিন্তু দীর্ঘহুস্বস্বর ও যুক্তব্যঞ্জনবর্ণের মাত্রবৈচিত্ৰ্য আছে, তাহাতে সংস্কৃত ছন্দ ঢেউ খেলাইয়া উঠে । যথা অন্ত্যত্তরসাং দিশি দেবতাত্মা উক্ত বাক্যের যেখানে যেখানে যুক্তব্যঞ্জনবর্ণ বা দীর্ঘস্বর আছে সেখানেই ধ্বনি গিয়া বাধা পায় । সেই বাধার আঘাতে আঘাতে ছন্দ হিল্লোলিত হইয়া উঠে । যে ভাষায় এইরূপ প্রত্যেক শব্দের একটি বিশেষ বেগ আছে সে ভাষার মন্ত সুবিধা এই যে, প্রত্যেক শব্দটিই নিজেকে জানান দিয়া যায়, কেহই পাশ কাটাইয়া আমাদের মনোযোগ এড়াইয়া যাইতে পারে না । এইজন্য যখন একটা বাক্য (sentence) আমাদের সম্মুখে উপস্থিত হয় তখন তাহার উচ্চনীচতার বৈচিত্র্যাবশত একটা সুস্পষ্ট চেহারা দেখিতে পাওয়া যায়। বাংলা বাক্যের অসুবিধা এই যে, একটা ঝোকের টানে একসঙ্গে অনেকগুলা শব্দ অনায়াসে আমাদের কানোর উপর দিয়া পিছলাইয়া চলিয়া যায় ; তাহদের প্রত্যেকটার সঙ্গে সুস্পষ্ট পরিচয়ের সময় পাওয়া যায় না। ঠিক যেন আমাদের ১ সবুজ পত্রে প্রকাশিত “সাধু ভাষায় লিখিত মূল পাঠ ।