পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (একাদশ খণ্ড) - সুলভ বিশ্বভারতী.pdf/৬২৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

So রবীন্দ্র-রচনাবলী ৬ । “জনগণমন-অধিনায়ক’ গানটায় যে মাত্ৰাধিক্যের কথা বলেছ সেটা অন্যায় বল নি । ঐ বাহুল্যের জন্যে ‘পাঞ্জাব শব্দের প্রথম সিলেবলটাকে দ্বিতীয় পদের গেটের বাইরে দাড় করিয়ে রাখিপান | জাব সিন্ধু গুজরাট মরাঠা ইত্যাদি। ‘পজাবীকে ‘পজিব করে নামটার আকার খর্ব করতে সাহস হয় নি, ওটা দীর্ঘকায়াদের দেশ । ছন্দের অতিরিক্ত অংশের জন্যে একটু তফাতে আসন পেতে দেওয়া রীতি বা গীতি -বিরুদ্ধ নয় । এই গেল আমার কৈফিয়তের পালা । তোমার ছন্দের তর্কে আমাকে সালিস মেনেছি। ‘লীলানন্দের যে লাইনটা নিয়ে তুমি অভিযুক্ত আমার মতে তার ছন্দঃপতন হয় নি । ছন্দ রেখে পড়তে গেলে কয়েকটি কথাকে অস্থানে খণ্ডিত করতে হয় বলেই বোধ হয় সমালোচক হিন্দঃপাত কল্পনা করেছেন । ভাগ করে দেখাই নৃত্য | শুধু বি | লানো লা | বশ্য ছন্ম । আসলে "বিলনো” কথাটাকে দুভাগ করলে কানে খটকা লাগে। নৃত্য শুধু লাবণ্যবিলানো ছন্ম লিখলে কোনোরকম আপত্তি মনে আসে না, অর্থ হিসাবেও স্পষ্টতর হয় । ঐ কবিতায় যে লাইনে তোমার জন্মের অপরাধ ঘটেছে সেটা এই-- সংগীতসুধা নন্দনে(র) সে আলিম্পনে । সংগী | ত সুধা | নন্দ | নের সে আ | লিম্পনে । সংগীতসুধা নন্দনের আলিম্পনে स्टा श्gन हक्म को दठ ना । যাক । তার পরে ঐকান্তিক । ওটা প্রাকৃত ছন্দে লেখা । সে ছন্দের স্থিতিস্থাপকতা যথেষ্ট । মাত্রার ওজনের একটু-আধটু নড়াচড় হলে ক্ষতি হয় না । তবুও নেহাত ঢিলেমি করা চলে না । ধাধামাত্রার নিয়মের চেয়ে কানের নিয়ম সূক্ষত্র ; বুঝিয়ে বলা বড়ো শক্ত, কেন ভালো লাগল বা লাগল না । “ঐকান্তিকার ছন্দটা বন্ধুর হয়েছে সে কথা বলতেই হবে । অনেক জায়গায় দূরান্বয়ের জন্যে এবং ছন্দের বিভাগে বাক্য বিভক্ত হয়ে গেছে বলে অর্থ বুঝতে কষ্ট পেয়েছি। তন্ন তন্ন আলোচনা করতে হলে কিন্তর বাক্য ও কাল -ব্যয় করতে হয় । তাই আমার কান ও বুদ্ধি অনুসরণ করে তোমার কবিতাকে কিছু কিছু কদল করেছি । তুমি গ্ৰহণ করবে। এ আশা করে নয়, আমার অভিমতটা অনুমান করতে পারবে এই আশা করেই । ১ কর্তিক ১০০৬ ভাগ করে দেখো যদি লিখতে R তুমি এমন করে সব প্রায় ফাদ যে দু-চার কথায় সেরে দেওয়া অসম্ভব হয়, তোমার সম্বন্ধে আমার এই নালিশ । ১ । ‘আবার এরা ঘিরেছে মোর মন- এই পঙক্তির ছন্দোমাত্রার সঙ্গে ‘দাহ আবার বেড়ে ওঠে LBKBLLLLB BB LLLSLL LBOB BODSSSL LMuSLYLLLB B GLLLL LT KLL তা হলে হিসাবের গোল থাকে না । ‘বেড়ে ওঠেকারমে- বিভক্ত সংস্কৃত ছন্দের নিয়মে "ক্ৰ' পরে থাকতে ‘ওঠোর ‘এ’ স্বরবর্ণে মাত্রা বেড়ে ওঠা উচিত । তুমি বলতে পাের, আমরা সাধারণত শব্দের প্ৰথম বর্ণস্থিত র-ফলকে দুই মাত্রা দিতে কৃপণতা করি । “আক্রমণ শব্দের ‘ক্রকে তার প্রাপ্য মাত্রা দিই, কিন্তু ‘ওঠে। ক্রমের “ক” দুখমাত্রায় খর্ব করে থাকি । আমি সুযোগ ঝুকে বিকল্পে দুইরকম নিয়মট চালাই । ,