পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (একাদশ খণ্ড) - সুলভ বিশ্বভারতী.pdf/৬৩০

ܝܵ S 2. তার নতুন মেলবন্ধন করা চলবে না। বিশেষত, চিহ্ন উচিয়ে চোখে খোচা দিয়ে পড়াতে চেষ্টা করলে পাঠকদের প্রতি অসৌজন্য করা হয় । Autumn flaunteth in his bushy bowers এতে একটা ছন্দের সূচনা থাকতে পারে, কিন্তু সেইটেই কি যথেষ্ট । অথবা— সম্মুখ সমৱে পড়ি বীর চূড়ামণি বীরবাহু । একসেস্ট-এর তাড়ায় ধাক্কা মেরে চালালে এইরকম লাইনের আলিসা ভেঙে দেওয়া যায় যদি মানি, তবু & $፥ማ'ዩ › እ es QA দীর্ঘতুম্ব ছন্দ্র সম্বন্ধে আর-একবার বলি । ও এক বিশেষ ধরনের লেখায় বিশেষ ভাষারীতিতেই চলতে পাবে । আকবর বাদশার যোধপুরী মহিষীর জন্যে তিনি মহল বানিয়েছিলেন স্বতন্ম, সমগ্ৰ প্রাসাদের মধ্যে সে আপন জাত বাচিয়ে নির্লিপ্ত ছিল । বাংলার উচ্চারণরীতিকে মেনে চলে যে ছন্দ তার চলাফেরা সাহিত্যের সর্বত্র, কোনো গণ্ডির মধ্যে নয় । তা পণ্ডিত-আপণ্ডিত সকল পাঠকের পক্ষেই সুগম ; তুমি বলতে পাব, সকল কবিতাই সকলের পক্ষে সুগম হবেই এমনতরো কবুলাতিনামায় লেখককে সই দিতে বাধা করতে পারি। নে । সে তর্ক খাটে ভাবের দিক থেকে, চিন্তার দিক থেকে, কিন্তু ভাষার সর্বজনীন উচ্চারণরীতির দিক থেকে নয় । তুমি বেলের শরবতই করো, দইয়ের শরবতই করো, মূল উপাদান জলটা সাধারণ জল— ভাষার উচ্চারণটাও সেইরকম । My hear achesকোনো ধ্বনিসীেষ্ঠবের খাতিরেই বা বাঙালির অভ্যাসের অনুরোধ heart -এর আ এবং aches-এর এ-কে হ্রস্থ করা চলবে না । এই কাবণে বাংলায় বিশুদ্ধ সংস্কৃত ছন্দ চালাতে গেলে দীর্ঘ স্বরধ্বনির জায়গায় যুক্তবর্ণের ধ্বনি দিতে হয় ; সেটার জন্যে বাংলাভাষা ও পাঠককে সর্বদা ঠেলা মারতে হয় না । অথবা দীর্ঘস্বরকে দুই মাত্রার মূল্য দিলেও চলে। যদি লিখতে gद्र अभन्न 5न्नडिउ, उनू ग्रजिट হিমানীতে সিঞ্চিত স্বৰ্ণ তা হলে চতুষ্পাঠীর বহির্বতী পাঠকের দুশ্চিন্তা ঘটাত না । v gris: ) » O r বাংলায় প্রাকহসন্ত স্বর দীর্ঘািয়ত হয় এ কথা বলেছি। জল এবং জলা, এই দুটাে শব্দের মাত্ৰাসংখ্যা সমান নয়। এইজন্যেই টুমুস টুমুস বান্দ্যি বাজে পদটাকে ত্রৈমাত্রিক বলেছি। টু-মু দুই সিলেবল, পরবতী হসন্তু স-ও এক সিলেবল-এর মাত্রা নিয়েছে পূৰ্ববতী উ স্বরকে সহজেই দীর্ঘ করে । টুমুটুমু বাজা বাজে' এবং 'টুমুস টুমুস বান্দ্যি বাজে এক ছন্দ নয় । “রশিয়া রশিয়া বাজিছে বাজনা এবং টুমুস টুমুস বান্দিা বাজে এক ওজনের ছন্দ । দুটােই ত্রৈমাত্ৰিক । আমি প্রচলিত ছড়ার দৃষ্টিান্তও দেখিয়েছি। Ne vit Saeb