পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (একাদশ খণ্ড) - সুলভ বিশ্বভারতী.pdf/৬৯৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

গ্রন্থপরিচয় ԾԳ Փ রূপসত্তায় এলে যবে সাজি সূৰ্যতারার তুলা । দূর আকাশের পথে যে আলোক এসেছে ধরার বক্ষে নিমেষে নিমেষে চুমি তব চোখ তোমারে বেঁধেছে। সখ্যে । দূর যুগ হতে আসে কত বাণী কালের পথের যাত্ৰী, সে মহাবাণীরে লয় সম্মানি তোমার দিবসরাত্রি । সম্মুখে তব গেছে দূর-পানে জীবযাত্রার পন্থ, তুমি সেন্থা চল- বলে কেবা জানে এ রহস্যের অন্ত । S N (VNO8 –uriä Kris soss ১৮-সংখ্যক কবিতাটির প্রসঙ্গে রবীন্দ্রভবনে-রক্ষিত ‘বর্ষামঙ্গল পাণ্ডুলিপির নিম্নসংকলিত উপসংহারের অংশ তুলনীয় নটরাজ । পালার শেষে শান্তিবাচনিকের নিয়ম আছে । আজ বিষধর নাগিনীরা জগতের চার দিকে ফণা তুলে গর্জন করছে । আজ শান্তির কথা পরিহাসের মতো শোনাবে। তাই উপসংহারে ডাক দিয়ে যাই তাদের, অকল্যাণের সঙ্গে লড়াইয়ের জন্যে যারা প্ৰস্তুত । [ ? ) » OA) ইহা উল্লেখযোগ্য যে, নবম ছত্রে প্রথমাবধি একটি মুদ্রাণপ্ৰমাদ ঘটিয়াছিল মনে হয়, এজন্যই প্রত্যাশিত অষ্টাদশ মাত্রা পূর্ণ হয় নাই। ঐ ছত্রে বিভিন্ন রবীন্দ্ৰপাণ্ডুলিপি অনুযায়ী, নীেকা' স্থলে শুদ্ধ পাঠ হইবে ; খেয়ানীেকা । সেজুতি * সেঁজুতি' ১৩৪৫ সালের ভাদ্র মাসে প্রকাশিত হয় । রবীন্দ্রসদনের পাণ্ডুলিপির সাহায্যে বর্তমান সংস্করণে কয়েকটি কবিতার রচনা-তারিখ সংশোধিত ও সংযোজিত হইয়াছে । গ্রন্থারম্ভের জন্মদিন' কবিতাটি ১৩৪৫ সালের ২৫ বৈশাখ সন্ধ্যায় কালিম্পঙে গৌরীপুরভবন হইতে রবীন্দ্রনাথ তাহার জন্মবাসর উপলক্ষে রেডিয়োতে পাঠ করিয়াছিলেন । ‘পত্রোত্তর কবিতাটি সুরেন্দ্রনাথ দাসগুপ্ত মহাশয়ের প্রেরিত 'কবি নারদ’ (প্রবাসী । আষাঢ় ১৩৪৫) কবিতার উত্তরে লিখিত । ‘পলায়নী” কবিতাটির প্রথম দুইটি স্তবক ১৩৪৪ জ্যৈষ্ঠের প্রবাসীতে অনুরূপ মুদ্রিত হইয়াছিল। প্রথম স্তবকের শেষাংশ ও দ্বিতীয় স্তবকের আরম্ভাংশ ‘সেঁজুতি'র পাঠে বর্জিত হইয়াছে । সেই বজিত অংশ নিম্নে প্রবাসী হইতে উদধূত হইল পলায়নভীরু পুরী দিনরাত তোমার সমুখে জোড় করে হাত, বাধা ঘাটে ঘাটে রচে প্ৰণিপাত, মাথা হেঁট করে তীরে । মাটির কণ্ঠে যেখানে অভয় মিথ্যা ভাষায় রটে,