পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (একাদশ খণ্ড) - সুলভ বিশ্বভারতী.pdf/৭০৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Verr ब्रदोश-ब्रा5नावकी হয়েছে। অধ্যাপক ব্ৰাউন বলেছেন, জরথুত্র এবং বাহাইমত-প্রবর্তক বাবের মাঝখানে অন্তত ২৫ শতাব্দীর ব্যবধান । ইতিমধ্যকালের ঐতিহাসিক সাক্ষ্য যো-পর্যন্ত রক্ষিত হয়েছে তার থেকে দেখা যায়, এই সদাসচেষ্ট অবিরামমননশীল পারসিক চিত্ত মানবজীবন ও মানবভাগ্যের সার্থকতার মহাসমস্যা ভেদ করবার জন্যে নিরন্তর চেষ্টা করেছে । y -বিচিত্রা । মাঘ ১৩৩৯, পৃ. ২০-২১ ৬৬০ পৃষ্ঠার অষ্টম অধ্যায়ের শেষ আর-একটি মানুষের চেহারায় পারস্যের আর-একটি প্রবল রূপ আমার মনে অঙ্কিত হয়ে গেছে । ইনি রাজার সভামন্ত্ৰী তেমুর্তাশ । আধুনিক কাল বিষম জোরের সঙ্গে এশিয়ার দ্বারে ধাক্কা মেরেছে, এই মানুষ তেমনি জোরের সঙ্গেই তাকে দিয়েছেন সাড়া । দৈবনির্ভরের সাধু বিশেষণধারী নিশ্চেষ্টতার বিরুদ্ধে পুরুষকারের আত্মপ্রভাব-প্রচারের ভার নিয়েছেন ইনি । ইনি জানেন, বহুকাল থেকে শাস্ত্র ও লোকাচারের মোহে মূৰ্ছিত আমাদের প্রাচাদেশ । মানুষের বুদ্ধি ইচ্ছাপূর্বক নিজেকে অশ্রদ্ধা করে খর্ব করে রেখেছে, সেইজন্যেই চার দিক থেকেই আমাদের এমন পরাভব, এত অপমান । উজ্জ্বল এর মুখশ্ৰী, বলিষ্ঠ ঐার বাহু, অপ্ৰতিহত ঐরি উদ্যম । দেখে আনন্দ হয় ; বুঝতে পারি, পারস্যকে তার আত্মগত দুর্বলতা থেকে রক্ষা করবার দীপ্যমান ধীশক্তি এর । অন্তরের মৃঢ়তা বাহিরের শক্রর সর্বপ্রধান সহায় । তাই আজ ধারা পারস্যের ভাগ্যনিয়ন্তা তাদের সতর্কতা দু দিক থেকেই উদ্যত । হালের মাঝি বাহিরের ঢেউয়ের উপর বিশ্বকে মারছে, আবার সংস্কারকর্তা লেগে আছে খোলের ছিদ্র মেরামতের কাজে । যারা সব চেয়ে দুর্জয় আত্মরিপুকে বশে আনবার ভার নিয়েছেন তাদের মধ্যে প্রধান একজন এই তেমুর্তাশ । সেদিন তিনি আমাকে সগর্বে বললেন, ‘পারস্যের ভবিষ্যৎকে সৃষ্টি করবার ভার নিয়েছি আমরা, অর্থাৎ ভূতকালের আঁচল-ধরা হয়ে আমরা ঝিমিয়ে থাকতে চাই নে।” আমাদের দেশে প্রবাদ আছে, ভূতের পা উলটােদিকে । আজ এশিয়ার পিছন-ফেরা পা আজও যাদের উলটাে পথ নির্দেশ করে তাদের মধ্যে সব চেয়ে অধম হচ্ছি। আমরা । জাগ্ৰতবুদ্ধি অবিচলিতসংকল্প এই তেজস্বী পুরুলিকে দেখে মনে মনে ঐকে নমস্কার করেছি ; বলেছি, তোমাদের মতো মানুষের জন্যেই ভারতবর্ষ অপেক্ষা করে আছে, কেননা চিত্তের স্বাধীনতাই ন্যাশনাল স্বাধীনতার বাহন । তেহেরান থেকে বিদায় নেবার দিন এল । আজ এখানকার রাজসরকার আমাকে জানিয়েছেন, শান্তিনিকেতনে তারা পারসিক বিদ্যার আসন প্ৰতিষ্ঠা করবেন । এই সুযোগে তাদের এই অতিথিকে উপলক্ষ করে পারস্যের সঙ্গে ভারতের যোগস্থাপন হবে। প্ৰধান মন্ত্ৰীবৰ্গ আজ এসে আমাকে বিদায় দিলেন । -বিচিত্রা । মাঘ ১৩৩৯, পৃঃ ২১-২২ ১৩৩৯ ভাদ্র ও চৈত্র সংখ্যা বিচিত্রায় নানা-বক্তৃতাদির রবীন্দ্রনাথ-কর্তৃক অনুমোদিত অনুবাদ প্ৰকাশিত হইয়াছিল । প্রাসঙ্গিকবোধে এখানে সেগুলি সংকলিত হইল - বুশেয়ারের সর্বসাধারণ ও বুশেয়ারের গবর্নর-কর্তৃক অভিনন্দন আজ যে শ্ৰদ্ধেয় অতিথিকে আমাদের মধ্যে অভ্যর্থনা করবার দুর্লভ সৌভাগ্য লাভ আমাদের ঘটেছে, ঐর মোহিনীশক্তি অগ্রদূত হয়ে এসে কিছুকাল ধরে আমাদের অধীর আগ্ৰহান্বিত প্রতীক্ষাকে হর্যোেজল করে রেখেছিল। ঐকে পৃথিবীর সকল জাতি কতখানি শ্ৰদ্ধার চােখে দেখে সে বিষয়ে কোনো আলোচনা নিম্প্রয়োজন ; যেখানেই মনের উৎকর্ষ আছে, বিদ্যা আছে, সেখানেই ঐৱ গ্ৰন্থাবলী যে সমাদর লাভ করেছে, জনে জনে ইনি বিতরণ করেছেন যে প্রেমের ও