পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (একাদশ খণ্ড) - সুলভ বিশ্বভারতী.pdf/৮৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আলমোড়া জ্যৈষ্ঠ ১৩৪৪ ছড়ার ছবি কেউবা ওরা দাড়ের পাখি, পিজারেতে কেউ থাকে, নেমন্তয় চিঠিগুলো পাঠিয়ে দেব ডাকে । মোটা মোটা ফড়িঙ দেব, ছাতুর সঙ্গে দই, ছোলা আনিব ভিজিয়ে জলে, ছড়িয়ে দেব খই। এমনি হবে ধুম, সাত পাড়াতে চক্ষে কারও রইবে না। আর ঘুম । ময়নাগুলোর খুলবে। গলা, খাইয়ে দেব লঙ্কা ; কাকাতুয়া চীৎকারে তার বাজিয়ে দেবে ডঙ্কা । পায়রা যত ফুলিয়ে গলা লাগবে বকবকম ; শালিকগুলোর চড়া মেজাজ, আওয়াজ নানারকম । আসবে কোকিল, চন্দনাদের শুভাগমন হবে, মন্ত্ৰ শুনতে পাবে না কেউ পাখির কলরবে । ডাকবে যখন টিয়ে বরকর্তা রবেন বসে কানে আঙুল দিয়ে ।” পিসনি পিসিনি বুডি চলেছে গ্রাম ছাড়ি । একদিন তার আদর ছিল, বয়স ছিল যোলো, স্বামী মরতেই বাড়িতে বাস অসহ্য তার হল । আর-কোনো ঠাই হয়তো পাবে আর-কোনো এক বাসা, মনের মধ্যে আঁকড়ে থাকে অসম্ভবের আশা । অনেক গেছে ক্ষয় হয়ে তার, সবাই দিল ফাকি, অল্প কিছু রয়েছে তার বাকি । তাই দিয়ে সে তুলল বেঁধে ছোট্ট বোঝাটাকে, জড়িয়ে কথা আঁকড়ে নিল কাখে । বা হাতে এক বুলি আছে, বুলিয়ে নিয়ে চলে, মাঝে মাঝে হাপিয়ে উঠে বসে ধুলির তলে । শুধই যবে, কোন দেশেতে যাবে মুখে ক্ষণেক চায় সকরুণ ভাবে ; কয় সে দ্বিধায়, “কী জানি ভাই, হয়তো আলমডাঙা, হয়তো সানকিভােঙ, কিংবা যাব পাটনা হয়ে কাশী ।” গ্রাম-সুবাদে কোনকালে সে ছিল যে কার মাসি, মণিলালের হয় দিদিমা, চুনিলালের মামিবলতে বলতে হঠাৎ সে যায় থামি, স্মরণে কার নাম যে নাহি মেলে । We