পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (একাদশ খণ্ড) - সুলভ বিশ্বভারতী.pdf/৮৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

জ্যৈষ্ঠ ১৩৪৪ আলমোড়া SR br Glos ছড়ার ছবি নদীর ধারে মেঠো পথে টাটু চলে ছুটে, চক্ষু ভোলায় খেতের ফসল রঙের হরিদ্র-লুটো জন্মমরণ ব্যেপে আছে। এরা প্ৰাণের ধন অতি সহজ বলেই তাহ জানে না। ওর মন । नJ २८ टन ; সোনা-মিশোল ধূসর আলো ঘিরল চারি পাশে । নীেকোখানা বাধা আমার মধ্যিখানের গাঙে অন্তরবির কাছে নয়ন কী যেন ধন মাঙে ৷ আপন গায়ে কুটীর আমার দূরের পটে লেখা, ঝাপসা আভায় যাচ্ছে দেখা বেগনি রঙের রেখা । যাব কোথায় কিনারা তার নাই, পশ্চিমোতে মেঘের গায়ে একটু আভাস পাই । ইহাসের দলে উড়ে চলে হিমালয়ের পানে, পাখা তাদের চিহ্নবিহীন পথের খবর জানে । শ্রাবণ গেল, ভাদ্র গেল, শেষ হল জল-ঢালা, TSNKPVT EQ35 gen SS TSG 19T খেতের পরে খেত একাকার প্লাবনে রয় ডুবে, লাগল। জলের দোলযাত্রা পশ্চিমে আর পুবে । আসন্ন এই আঁধার মুখে নীেকোখানি বেয়ে যায় কারা ওই শুধাই, “ওগো নেয়ে, চলেছ কোনখানে ৷” যেতে যেতে জবাব দিলে, “যাব গায়ের পানে ৷” অচিন-শূন্যে-ওড়া পাখি চেনে আপন নীড়, জানে বিজন-মধ্যে কোথায় আপন জনের ভিড় । অসীম আকাশ মিলেছে। ওর বাসার সীমানাতে, ওই অজানা জড়িয়ে আছে জানাশোনার সাথে । তেমনি ওরা ঘরের পথিক ঘরের দিকে চলে যেথায় ওদের তুলসিতলায় সন্ধ্যাপ্ৰদীপ জ্বলে । দাড়ের শব্দ ক্ষীণ হয়ে যায় ধীরে, মিলায় সুদূর নীরে । সেদিন দিনের অবসানে সজল মেঘের ছায়ে আমার চলার ঠিকানা নাই, ওরা চলল। গায়ে । ԳՓ)