পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (চতুর্থ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/১৪৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

>ペー কচ | দেবযানী । কচ । দেবযানী । কচ | রবীন্দ্র-রচনাবলী পরিহিত পট্টবাস, অধরে নয়নে প্রসন্ন সরল হাসি, হোখা পুষ্পবনে দাড়ালে আসিয়া— তুমি সন্ত স্বান করি দীর্ঘ আর্দ্র কেশজালে, নবগুরুগম্বরী জ্যোতিঃস্নাত মূর্তিমতী উষা, হাতে সাজি একাকী তুলিতেছিলে নব পুষ্পরাজি পূজার লাগিয়া। কহিমু করি বিনতি, ‘তোমারে সাজে না শ্রম, দেহ অনুমতি ফুল তুলে দিব দেবী । আমি সবিস্ময় সেই ক্ষণে শুধাতু তোমার পরিচয় । বিনয়ে কহিলে, ‘আসিয়াছি তব দ্বারে তোমার পিতার কাছে শিষ্য হইবারে আমি বৃহস্পতিস্থত।’ শঙ্কা ছিল মনে পাছে দানবের গুরু স্বর্গের ব্রাহ্মণে দেন ফিরাইয়। আমি গেন্থ তার কাছে । হাসিয়া কহিস্থ, ‘পিতা, ভিক্ষ এক আছে চরণে তোমার।’ স্নেহে বসাইয়া পাশে শিরে মোর দিয়ে হাত শাস্ত মৃদ্ধ ভাবে কহিলেন, ‘কিছু নাহি অঙ্গেয় তোমারে।’ কহিলাম, 'বৃহস্পতিপুত্ৰ তব দ্বারে এসেছেন, শিস্য করি লহ তুমি তীরে এ মিনতি।’ সে আজিকে হল কত কাল, তবু মনে হয় যেন সেদিন সকাল । ঈর্ষাভরে তিনবার দৈত্যগণ মোরে করিয়াছে বধ, তুমি দেবী দয়া করে ফিরায়ে দিয়েছ মোর প্রাণ, সেই কথা