পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (চতুর্থ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/১৫০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Se: কচ । দেবযানী । রবীন্দ্র-রচনাবলী দেবযানী, তুমি শুধু সিদ্ধি মূর্তিমতী, তোমারেই করিছু বরণ’ নাহি ক্ষতি, নাহি কোনো লজা তাহে । রমণীর মন সহস্রবর্ষেরই, সখা, সাধনার ধন । দেবসন্নিধানে শুভে করেছিকু পণ মহাসঞ্জীবনী বিদ্যা করি উপার্জন দেবলোকে ফিরে যাব। এসেছিন্থ তাই ; সেই পণ মনে মোর জেগেছে সদাই ; পূর্ণ সেই প্রতিজ্ঞ আমার, চরিতার্থ এতকাল পরে এ জীবন– কোনো স্বার্থ করি না কামনা আজি । ধিক্ মিথ্যাভাষী । শুধু বিদ্যা চেয়েছিলে ? গুরুগৃহে আসি শুধু ছাত্ররূপে তুমি আছিলে নির্জনে শাস্ত্রগ্রন্থে রাখি আঁখি রত অধ্যয়নে অহরহ ? উদাসীন আর সবা-পরে ? ছাড়ি অধ্যয়নশালা বনে বনাস্তরে ফিরিতে পুষ্পের তরে, গাথি মাল্যথানি সহাস্ত প্রফুল্লমুখে কেন দিতে আনি த் এ বিদ্যাহীনারে ? এই কি কঠোর ব্রত ? এই তব ব্যবহার বিদ্যার্থীর মতো ? প্রভাতে রহিতে অধ্যয়নে, আমি আসি শূন্ত সাজি হাতে লয়ে দাড়াতেম হাসি, তুমি কেন গ্রন্থ রাখি উঠিয়া আসিতে, প্রফুল্ল শিশিরসিক্ত কুস্বমরাশিতে করিতে আমার পূজা ? অপরাত্নকালে জলসেক করিতাম তরু-আলবালে, আমারে হেরিয়া শ্রাস্ত কেন দয়া করি দিতে জল তুলে ? কেন পাঠ পরিহরি পালন করিতে মোর মৃগশিশুটিকে ?