পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (চতুর্থ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/২০৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ब्ररौटश-ब्रळ्नांवलौ في عb$ বৈকুণ্ঠ । দেখছেন কেদারবাৰু? কেদার। আজ্ঞে ই, দেখছি বইকি ! কিন্তু আমার মতে, ওর নাম কী, বইয়ের নামটা যেন কিছু বড়ো হয়ে পড়েছে। বৈকুণ্ঠ । বড়ো হোক, কিন্তু বিষয়টা বেশ পরিষ্কার বোঝা যাচ্ছে। ‘প্রাচ্য ও পাশ্চাত্য প্রাচীন ও প্রচলিত সংগীতশাস্ত্রের আদিম উৎপত্তি ও ইতিহাস এবং নূতন সার্বভৌমিক স্বরলিপির সংক্ষিপ্ত ও সরল আদর্শ প্রকরণ’। এতে আর কোনো কথাটি বাদ গেল না। কেদার। তা বাদ যায় নি। কিন্তু ওর নাম কী, মাপ করবেন বৈকুণ্ঠবাবুকিছু বাদসাদ দিয়েই নাম রাখতে হয়। কিন্তু লেখা যা হয়েছে সে পড়তে পড়তে, ওর নাম কী, শরীর রোমাঞ্চ হয়ে ওঠে ! বৈকুণ্ঠ । হা হা হা হা! রোমাঞ্চ ! আপনি ঠাট্টা করছেন। কেদার। সে কী কথা ! বৈকুণ্ঠ । ঠাট্টার বিষয় বটে। ও আমার একটা পাগলামি । হা হা হা হা ! সংগীতের উৎপত্তি ও ইতিহাস, মাথা আর মুণ্ডু । দিন খাতাটা । বুড়ো মানুষকে পরিহাস করবেন না কেদারবাবু। কেদার। পরিহাস ! ওর নাম কী, পরিহাস কি মশায় দু ঘণ্টা ধরে কেউ করে। ভেবে দেখুন দেখি, কখন থেকে আপনার খাতা নিয়ে পড়ছি। তা হলে তো রামের বনবাসকেও, ওর নাম কী, কৈকেয়ীর পরিহাস বলতে পারেন। বৈকুণ্ঠ। হা হা হা হা! আপনি বেশ কথাগুলি বলেন। কেদার। কিন্তু হাসির কথা নয় বৈকুণ্ঠবাবু, ওর নাম কী, আপনার লেখার স্থানে স্থানে যথার্থই রোমাঞ্চ হয়— তা, কী বলে, আপনার মুখের সামনেই বললুম। বৈকুণ্ঠ । বুঝেছি আপনি কোন জায়গার কথা বলছেন, সেখানটা লেখার সময় আমারই চোখে জল এসেছিল। যদি আপনার বিরক্তি বোধ না হয় তো সেই জায়গাটা এক বার পড়ে শোনাই । কেদার। বিরক্তি ! বিলক্ষণ ! ওর নাম কী, আমি আপনাকে ঐ জায়গাট পড়বার জন্তে অনুরোধ করতে যাচ্ছিলুম। (স্বগত) খালীটিকে পার করা পর্যন্ত হে ভগবান, আমাকে ধৈর্য দাও— তার পরে আমারও এক দিন জাসবে ! বৈকুণ্ঠ। কী বলছেন কেদারবাবু?