পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (চতুর্থ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/২১১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

६बकूर*ब्र थांडा StూS তিনকড়ি। মা নেই! ঠিক আমারই মতো । কেদার। বৈকুণ্ঠবাৰু, ওর নাম কী, আজি তবে উঠি— ঈশানকোণে ঝড়ের লক্ষণ দেখা যাচ্ছে । 噪 তিনকড়ি। দাড়াও না, যাবে কোথায় ? দেখুন বৈকুণ্ঠবাৰু, লজ্জা পাবেন ন!— এই তিনকড়ের পোড়াকপালের জঁাচ পেলে অন্নপূর্ণর হাড়ির তলা ছু-খণক হয়ে যায়। যা হোক, আমার উপর সম্পূর্ণ ভার দিন, আমি বড়োবাজার থেকে আহারের জোগাড় করে আনছি। আপনাকে আর কিছু দেখতে হবে না। কেদার। ( কৃত্রিম রোযে ) দেখ তিনকড়ি ! এতদিন, ওর নাম কী, আমার সহবাসে এবং দৃষ্টাস্তে তোর এই কী বলে, হেয় জঘন্ত লুব্ধ প্রবৃত্তি ঘুচল না! আজ থেকে, ওর নাম কী, তোর মুখদর্শন করব না। [ প্রস্থান বৈকুণ্ঠ । আহা, আহ, রাগ করে যাবেন না কেদারবাবু-কেদারবাৰু, শুনে যান। তিনকড়ি। কিছু ভাববেন না। কেদারদাকে আমি বেশ জানি। ওকে আমি আধ ঘণ্টার মধ্যে জুড়িয়ে ঠাণ্ড করে আপনার এখানে হাজির করে দেব। বুঝছেন না, পেটে আগুন জললেই বাক্যিগুলো কিছু গরম গরম আকারে মুখ থেকে বেরোতে থাকে । বৈকুণ্ঠ । হা হা হা হাঃ ! বাবা, তোমার কথাগুলি বেশ। তা দেখো, এই তোমাকে কিঞ্চিৎ জলপানি দিচ্ছি। (নোট দিয়া ) কিছু মনে কোরো না। তিনকড়ি। কিছু না, কিছু না। এর চেয়ে বেশি দিলেও কিছু মনে করতুম না— আমার সে-রকম স্বভাবই নয়। [ প্রস্থান ঈশানের প্রবেশ ঈশান। বাবু (বৈকুণ্ঠ নিরুত্তর ) – বাৰু! (নিরুত্তর) – বাৰু, খাবার এসেছে । ( নিরুত্তর ) – খাবার ঠাও হয়ে গেল ষে । ; বৈকুণ্ঠ । ( রাগিয়া ) যা— আমি খাব না। ঈশান। আমার মাপ করে-- খাবার জুড়িয়ে গেল । বৈকুণ্ঠ। না, আমি খাব না। ঈশান। পায়ে ধরি বাৰু— খেতে চলে— রাগ কোয়ে না। বৈকুণ্ঠ । বাং– বেরে তুই– বিরক্ত করিলনে। : ঈশান। দাও আমার কান মলে দাও— বাৰু