পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (চতুর্থ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/২২৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ठेवकू:5ब्र थाङ * &やめ তিনকড়ি। আমার সম্বন্ধে ভারি লজ। কাউকে মুখ দেখাবার জো নেই। অবিনাশ । না, তোমার সম্বন্ধে বলছিনে, আমার সম্বন্ধে। জান তো, তিনকড়ি আমার সঙ্গে তার একটা সম্বন্ধ— তিনকড়ি। ওঃ, বুঝেছি। তা তো হতেই পারে। আমার সঙ্গেও একটি কন্তের সম্বন্ধ হয়েছিল— বিবাহের পূর্বে সে তো লজ্জায় মরেই গেল। অবিনাশ । আঃ, কি বল তিনকড়ি ! তিনকড়ি। শুধু লজ্জা নয়, শুনলুম তার যকৃৎও ছিল। অবিনাশ । মনোরমার— তিনকড়ি। যকৃতের দোষ নেই। অবিনাশ । আঃ, সে কথা আমি জিজ্ঞাসা করছিনে, আমি হৃদয়ের কথা বলছি— তিনকড়ি। মশায়, ও-সব বড়ো শক্ত শক্ত কথা, আমি বুঝিনে। মেয়েমানুষের হৃদয় তিনকড়ি কখনো পায়নি, কখনো প্রত্যাশাও করেনি। দিব্যি আছি । অবিনাশ । আচ্ছ, সে থাকৃ— কিন্তু, দেখে তিনকড়ি, মনোরমাকে আমি একটি আংটি উপহার দেব। বুঝলে ? সেই সঙ্গে এক লাইন চিঠি দিতে চাই— তিনকড়ি । ক্ষতি কী ! একটা লাইন বৈ তো নয়, চট করে হয়ে যাবে। অবিনাশ। এই দেখে না, আমি লিখেছিলুম – ‘দেবীপদতলে বিমুখ ভক্তের পূজোপহার । তুমি কী বল ? তিনকড়ি। তোমার কথা তুমি বলবে, ওর মধ্যে আমার কিছু বলা ভালো হয় ন, সে হল আমার ভগ্নী— অবিনাশ । না না, তা বলছিনে। আংটি কি ঠিক পদতলে দেওয়া যায় ! করতলে লিখলে— তিনকড়ি। তাঁ, ওটা লেখা বৈ তো না— পদতলে লিখে করতলে দিলেই হবে, সেজন্তে তো কেউ আদালতে নালিশ করবে না। অবিনাশ । না হে না, লেখার তো একটা মানে থাক চাই— তিনকড়ি। জাংটি থাকলে জার মানে থাকার দরকার কী ? ওতেই তো বোঝা গেল । অবিনাশ । আংটির চেয়ে কথার দাম বেশি, তা জান ? তিনকড়ি। তা হলে আজ আর তিনকড়েকে হাহাকার করে বেড়াতে হত না । অবিনাশ। জা, কী বকছ তুমি তার ঠিক নেই। একটু মন দিয়ে শোনে