পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (চতুর্থ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/২৩১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

बकूर६ब्र क्वांछ ఇ అవి এখন ঘর-সংলার হল, তার টাকাকড়ির দরকার, তার উপরে তার চাপাতে মামার আর ইচ্ছে নেই— আমি এখান থেকে যেতে চাই— ঈশান। সে তো মন্দ কথা নয়, কিন্তু— বৈকুণ্ঠ। ওর আর কিন্তুটিন্ত নেই ঈশেন। সময় উপস্থিত হলেই প্রস্তুত হতে হয়। ঈশান । তোমার লেখাপড়ার কী হবে ? বৈকুণ্ঠ। (হাসিয়া) আমার লেখা ! সে আবার একটা জিনিস। সবাই হাসে, আমি কি তা জানিনে ঈগেন ? ও-সব রইল পড়ে । সংসারে লেখায় কারও কোনো দরকার নেই। ঈশান। ছোটোবাবুকে তো বলে কয়ে যেতে হবে ? বৈকুণ্ঠ । তা হলে সে কিছুতেই যেতে দেবে না । সে তো আর আমাকে ‘ষাও বলতে পারবে না ঈশেন। গোপনেই যেতে হবে, তার পর তাকে লিখে জানাব। যাই, আমার নীরুকে এক বার দেখে আসিগে । [ উভয়ের প্রস্থান তিনকড়ি ও কেদারের প্রবেশ তিনকড়ি। দাদ, তুই তো আমাকে ফাকি দিয়ে হাসপাতালে পাঠালি, সেখান থেকেও আমি ফাকি দিয়ে ফিরেছি। কিছুতেই মলেম না। কেদার। তাই তো রে, দিব্যি টিকে আছিল যে । তিনকড়ি । ভাগ্যে, দাদা, এক দিনও দেখতে যাওনি— কেদার। কেন রে । তিনকড়ি। যম বেটা ঠাউরালে এ ছোড়ার দুনিয়ায় কেউই নেই, নেহাত তাচ্ছিল্য করে নিলে না। ভাই, তোকে বলব কী, এই তিনকড়ের ভিতরে কতট। পদার্থ আছে সেইটে দেখবার জন্তে মেডিকাল কলেজের ছোকরাগুলো সব ছুরি উচিয়ে বসে ছিল— দেখে আমার অহংকার হত। যাই হোক দ্বারা, তুমি তো এখানে দিব্যি জমিয়ে বসেছ । o কেদার। যা, যা, মেলা বকিসনে। এখন এ আমার আত্মীয়বাড়ি তা জানিস ? তিনকড়ি। সমস্তই জানি, আমার অগোচর কিছুই নেই। কিন্তু বুড়ে বৈকুণ্ঠকে দেখছিনে বে। তাকৃে বুঝি ঠেলে দিয়েছিল ? এইটে তোর দোষ। কাজ ফুরোলেই— কেদার। তিনকড়ে ! ফের। কানমল খারি।