পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (চতুর্থ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/২৩২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

$ Se রবীন্দ্র-রচনাবলী তিনকড়ি। তা, দে মলে। কিন্তু সত্যি কথা বলতে হয়, বৈকুণ্ঠকে যদি তুই ফাকি দিস তা হলে অধৰ্ম হবে, অামার সঙ্গে যা করিস সে আলাদা— কেদার। ইস, এত ধর্ম শিখে এলি কোথা । তিনকড়ি। তা, যা বলিস ভাই, যদিচ তুমি-আমি এতদিন টিকে আছি তবু ধর্ম বলে একটা কিছু আছে। দেখো কেদারদা, আমি যখন হাসপাতালে পড়ে ছিলুম, বুড়োর কথা আমার সর্বদা মনে হত। পড়ে পড়ে ভাবতুম, তিনকড়ি নেই, এখন কেদারদার হাত থেকে বুড়োকে কে ঠেকাবে। বড়ো দুঃখ হত। কেদার। দেখ, তিনকড়ে, তুই যদি এখানে আমাকে জালাতে আসিস তা হলে— তিনকড়ি। মিথ্যে ভয় করছ দাদা। আমাকে আর হাসপাতালে পাঠাতে হবে ন। এখানে তুমি একলাই রাজত্ব করবে। আমি দু দিনের বেশি কোথাও টিকতে পারিনে, এ জায়গাও আমার সহ হবে না। কেদার। তা হলে আর আমাকে দগ্ধাস কেন, না হয় দুটো দিন আগেই গেলি । তিনকড়ি। বৈকুণ্ঠের খাতাখানা না চুকিয়ে যেতে পারছিনে, তুমি তাকে ফাকি দেবে জানি। অদৃষ্টে যা থাকে ওটা এই অভাগাকেই শুনতে হবে। কেদার। এ ছোড়াটাকে মেরে ধীরে, গাল দিয়ে, কিছুতেই তাড়াবার জো নেই। তিনকড়ে, তোর খিদে পেয়েছে ? তিনকড়ে । কেন অার মনে করিয়ে দাও ভাই ? কেদার। চল, তোকে কিছু পয়সা দিইগে, বাজার থেকে জলখাবার কিনে এনে খাবি । তিনকড়ি। এ কী হল! তোমারও ধর্মজ্ঞান ! হঠাৎ ভালোমন্দ একটা কিছু হবে না তো । [ উভয়ের প্রস্থান ঈশান ও বৈকুণ্ঠের প্রবেশ বৈকুণ্ঠ। ভেবেছিলুম, খাতাপত্রগুলো আর সঙ্গে নেব না— শুনে নীরু মা কাদতে লাগল, ভাবলে বুড়োবয়সের খেলাগুলো বাবা কোথায় ফেলে যাচ্ছে । এগুলো নে ঈশেন — ঈশেন ! ঈশান। কী বাৰু! বৈকুণ্ঠ। ছোটোর উপর বড়োর যে-রকম স্নেহ, বড়োর উপর ছোটোর সে-রকম श्ञ्च बां- मां श्रेळलन ? ঈশান। তাই তো দেখতে পাই ।