পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (চতুর্থ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/২৩৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

রবীন্দ্র-রচনাবলী ঈশান। আজ আমাকে গাল দাও, ধরে মারো, আমি কিছু বলব না— প্রাণ বড়ো খুশি হয়েছে। কেদারকে লইয়া তিনকড়ির প্রবেশ কেদার। ওর নাম কী, অবিনাশ ডাকছ ? অবিনাশ । ই– তোমার চুলে প্রস্তুত হয়েছে, এখন ঘর থেকে নাবতে হবে। কেদার। তোমার ঠাট্টাটা অবিনাশ অন্ত লোকের ঠাট্টার চেয়ে, ওর নাম কী, কিছু কড়া হয়। বৈকুণ্ঠ। আহা, অবিনাশ, তুমি থামো! কেদারবাৰু, অবিনাশের উদ্ধত বয়েস আপনার আত্মীয়দের সঙ্গে ওঁর ঠিক— অবিনাশ । বনছিল না। তাই তিনি তাদের হাত ধরে সদর দরজার বার করে দিয়ে এসেছেন— তিনকড়ি। এতক্ষণে আবার তারা খিড়কির দরজা দিয়ে ঢুকেছেন, সাবধান থাকবেন— অবিনাশ । এখন তোমাকেও তাদের পথে— তিনকড়ি । ওঁকে দোসরা পথ দেখাবেন, সব কটিকে একত্রে মিলতে দেবেন না— কেদার। অবু, ওর নাম কী, তা হলে আমার সম্বন্ধে করতলের পরিবর্তে পদতলেই স্থির হল— অবিনাশ । ই, যার যেখানে স্থান— কেদার। ঈশেন, তা হলে একটা ভালো দেখে সেকেও, ক্লাস গাড়ি ডেকে দাও তো । তিনকড়ি। ভেবেছিলুম এবার বুঝি একলা বেরোতে হবে— শেষ, দাদাও জুটল। বরাবর দেখে আসছি কেদারদ, শেষকালটা তুমি ধরা পড়ই, আমি সর্বাগ্রেই সেটা সেরে রাখি, আমার আর ভাবনা থাকে না । কেদার। তিনকড়ে ! ফের ! বৈকুণ্ঠ । কেদারবাৰু, এখনি যাচ্ছেন কেন ? আস্থন, কিঞ্চিৎ জলযোগ করে নিন— তিনকড়ি। তা বেশ তো, আমাদের তাড়া নেই। ठेवकू% । छेम्लन !