পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (চতুর্থ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/২৪৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

éखां★छिब्र नेिर्वक ९२> পাছে চেয়ে বসে আমার মন আমি তাই ভয়ে ভয়ে থাকি, পাছে চোখে চোখে পড়ে বাধ৷ আমি তাই তো তুলিনে জাখি। পুরবালা । তবে যাও ! অক্ষয় । না না, রাগারগি না । আচ্ছা, যা বল তাই শুনব । খাতায় নাম লিখিয়ে তোমার ঠাট্টানিবারিণী সভার সভ্য হব ! তোমার সামনে কোনো রকমের বেয়াদবি করব না ! তা, কী কথা হচ্ছিল ! শুশলীদের বিবাহ! উত্তম প্রস্তাব ! পুরবালা গম্ভীর বিষন্ন হইয়া কহিল, “দেখো, এখন বাবা নেই। মা তোমারই মুখ চেয়ে আছেন। তোমারই কথা শুনে এখনও তিনি বেশি বয়স পর্যন্ত মেয়েদের লেখাপড়া শেখাচ্ছেন। এখন যদি সংপাত্র না জুটিয়ে দিতে পার তা হলে কী অন্যায় হবে ভেবে দেখে দেখি !” অক্ষয় দুলক্ষণ দেখিয়া পূর্বাপেক্ষ কথঞ্চিৎ গভীর হইয়া কহিলেন, “আমি তে। তোমাকে বলেইছি তোমরা কোনো ভাবনা কোরো না। আমার শুদলীপতির গোকুলে বাড়ছেন ।” পুরবাল । গোকুলটি কোথায় ? অক্ষয় । যেখান থেকে এই হতভাগ্যকে তোমার গোষ্ঠে ভরতি করেছ। আমাদের সেই চিরকুমার-সভা। পুরবালা সন্দেহ প্রকাশ করিয়া কহিল, “প্রজাপতির সঙ্গে তাদের যে লড়াই !” অক্ষয় । দেবতার সঙ্গে লড়াই করে পারবে কেন ? তাকে কেবল চটিয়ে দেয় মাত্র । সেই জন্ধে ভগবান প্রজাপতির বিশেষ কোক ওই সভাটার উপরেই। সরাচাপী হাড়ির মধ্যে মাংস যেমন গুমে গুমে সিদ্ধ হতে থাকে— প্রতিজ্ঞার মধ্যে চাপ৷ থেকে সভ্যগুলিও একেবারে হাড়ের কাছ পর্যন্ত নরম হয়ে উঠেছেন– দিব্যি বিবাহযোগ্য হয়ে এসেছেন— এখন পাতে দিলেই হয়। আমিও তো এক কালে ওই সভার সভাপতি ছিলুম! 壘 অনিন্দিত পুরবালা বিজয়গর্বে ঈষৎ হাসিয়া জিজ্ঞাসা করিল, “তোমার কী রকম দশাটা হয়েছিল!” অক্ষয়। সে জার কী বলব! প্রতিজ্ঞ ছিল স্ত্রীলিঙ্গ শঙ্খ পর্যন্ত মুখে উচ্চারণ করব না, কিন্তু শেষকালে এমনি হল যে, মনে হত প্রকৃষ্ণের ধোল-শ গোপিনী যদি