পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (চতুর্থ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/২৫০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

२२४r রবীন্দ্র-রচনাবলী কাল হইতে র্তাহার আশ্রয়ে থাকিয়া বাড়ির সুখদু:খে সম্পূর্ণ জড়িত হইয়া ছিলেন। গিল্পী অগোছালে থাকাতে কর্তার অবর্তমানে তাহার কিছু অষত্ব-অসুবিধা হইতেছিল এবং জগত্তারিণীর অসংগত ফরমাশ খাটিয়া তাহার অবকাশের অভাব ঘটিয়াছিল । কিন্তু তাহার এইসমস্ত অভাব-অসুবিধা পূরণ করিবার লোক ছিল শৈল । শৈল থাকাতেই মাঝে মাঝে ব্যামোর সময় তাহার পথ্য এবং সেবার ক্রটি হইতে পারে নাই ; এবং তাহারই সহকারিতায় তাহার সংস্কৃতসাহিত্যের চর্চা পুরাদমেই চলিয়াছিল। n রসিকদা শৈলবালার অদ্ভুত প্রস্তাব শুনিয়া প্রথমটা হা করিয়া রছিলেন, তাহার পর হাসিতে লাগিলেন, তাহার পর রাজি হইয়া গেলেন। কহিলেন, “ভগবান হরি নারী-ছদ্মবেশে পুরুষকে ভুলিয়েছিলেন, তুই শৈল যদি পুরুষ-ছদ্মবেশে পুরুষকে ভোলাতে পারিস তা হলে হরিভক্তি উড়িয়ে দিয়ে তোর পুজোতেই শেষ বয়সটা কাটাব। কিন্তু মা যদি টের পান ?” শৈল। তিন কন্যাকে কেবলমাত্র স্মরণ করেই মা মনে মনে এত অস্থির হয়ে ওঠেন যে, তিনি আমাদের আর খবর রাখতে পারেন না । তার জন্তে ভেবে না । রসিক। কিন্তু সভায় কী রকম করে সভ্যতা করতে হয়, সে আমি কিছুই জানিনে । শৈল। আচ্ছ সে আমি চালিয়ে নেব । দ্বিতীয় পরিচ্ছেদ ঐশ ও বিপিন শ্ৰীশ । তা যাই বল, অক্ষয়বাবু যখন আমাদের সভাপতি ছিলেন তখন আমাদের চিরকুমার-সভা জমেছিল ভালো। হাল সভাপতি চন্দ্রবাবু কিছু কড়া। বিপিন। তিনি থাকতে রস কিছু বেশি জমে উঠেছিল। চিরকৌমার্বত্রতের পক্ষে রসাধিক্যটা ভালো নয় আমার তো এই মত। ঐশ। আমার মত ঠিক উলটাে। আমাদের ব্ৰত কঠিন বলেই রসের দরকার বেশি। রুক্ষ মাটিতে ফসল ফলাতে গেলে কি জলসিঞ্চনের প্রয়োজন হয় না ? চিরজীবন