পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (চতুর্থ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/৩০০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

२१४ রবীন্দ্র-রচনাবলী পরশু থেকে বলছ।” կն রসিক। যাকে জন্ম দেওয়া যায় তার প্রতি মমতা হয় না ? ঠাট্ট একবার মুখ থেকে বের হলেই কি রাজপুতের কন্যার মতো তাকে গল টিপে মেরে ফেলতে হবে ? হয়েছে কী— যতদিন চিরকুমার-সভা টিকে থাকবে এই ঠাট্টা তোদের দু-বেলা শুনতে হবে। 嘎 নীরবালা। তবে ওটাকে তো একটু সকাল সকাল সেরে ফেলতে হচ্ছে। মেজদিদি ভাই, আর দয়ামায়া নয়— রসিকদাদার রসিকতাকে পুরোনো হতে দেব না, চিরকুমার-সভার চিরত্ব আমরা অচিরে ঘুচিয়ে দেব তবেই তো আমাদের বিশ্ববিজয়িনী নারী নাম সার্থক হবে। কিরকম করে আক্রমণ করতে হবে একটা কিছু প্ল্যান ঠাউরেছিস ? শৈল। কিছুই না। ক্ষেত্রে উপস্থিত হয়ে যখন যেরকম মাথায় আসে। নীরবাল । আমাকে যখন দরকার হবে রণভেরী ধ্বনিত করলেই আমি হাজির হব। আমি কি ডরাই সখী কুমারসভারে ? নাহি কি বল এ ভুজমৃণালে ? অক্ষয় ঘরে প্রবেশ করিয়া কহিলেন, “অন্থকার সভায় বিদুষীমণ্ডলীকে একটি ঐতিহাসিক প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করতে ইচ্ছা করি।” শৈল। প্রস্তুত আছি । অক্ষয়। বলে দেখি যে-দুটি ডালে দাড়িয়েছিলেন সেই দুটি ডাল কাটতে চেয়েছিলেন কে ? নৃপ তাড়াতাড়ি উত্তর করিল, “আমি জানি মুখুজোমশায়, কালিদাস।” অক্ষয়। না, আরও একজন বড়ো লোক। ঐঅক্ষয়কুমার মুখোপাধ্যায়। নীরবালা । ডাল দুটি কে ? অক্ষয় বামে নিরুকে টানিয়া বলিলেন “এই একটি” এবং দক্ষিণে নৃপকে টানিয়া আনিয় কহিলেন “এই আর-একটি” । h নীরবাল । আর কুড়ুল বুঝি আজ আসছে ? অক্ষয়। আসছে কেন, এসেছে বললেও অত্যুক্তি হয় না। ওই যে সিড়িতে পায়ের শব্দ শোনা যাচ্ছে । শুনিয়া দৌড়, দৌড়। শৈল পালাইবার সময় রসিকদাদাকে টানিয়া লইয়া গেল। চুড়ি-বালার ঝংকার এবং এন্ত পদপল্লব কয়েকটির ক্রতপতনশৰ সম্পূর্ণ না মিলাইতেই ঐশ ও বিপিনের প্রবেশ। কম্ বম্ কম কম দূর হইতে দূরে বাজিতে লাগিল। এবং ঘরের আলোড়িত বাতাসে এসেন্স, ও গন্ধতৈলের মিশ্ৰিত স্বছ