পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (চতুর্থ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/৩২৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৩e 8 রবীন্দ্র-রচনাবলী শ্ৰীশ। দেখব আর কী ? তাকে খুজে বেড়াচ্ছি। এক চোট দীর্ঘনিশ্বাস ফেলব, কবিতা আওড়াব, কনকবলয়ভংশরিক্তপ্রকোষ্ঠ হয়ে যাব, তবে রীতিমত সন্ন্যাসী হতে পারব। আমাদের কবি লিখেছেন— নিশি না পোহাতে জীবনপ্রদীপ জালাইয়া যাও প্রিয়া, তোমার অনল দিয়া । কবে যাবে তুমি সমুখের পথে দীপ্ত শিখাটি বাহি আছি তাই পথ চাহি । আমার নীরব হিয়া আপন আঁধার নিয়া । নিশি না পোহাতে জীবনপ্রদীপ জালাইয়া যাও প্রিয়া ! পূর্ণ। ওহে শ্ৰীশবাবু, তোমার কবিটি তো মন্দ লেখে নি!— নিশি না পোহাতে জীবনপ্রদীপ জালাইয়া যাও প্রিয় ! ঘরটি সাজানো রয়েছে— থালায় মালা, পালঙ্কে পুষ্পশষ্য, কেবল জীবনপ্রদীপটি জলছে না, সন্ধ্যা ক্রমে রাত্রি হতে চলল – বা, দিব্যি লিখেছে! কোন বইটাতে আছে বলে দেখি ? শ্ৰীশ । বইটার নাম আবাহন । পূর্ণ। নামটাও বেছে বেছে দিয়েছে ভালো। (আপন-মনে)— নিশি না পোহাতে জীবনপ্রদীপ জালাইয়া যাও প্রিয়া ! [ দীর্ঘনিশ্বাস তোমরা কি বাড়ির দিকে চলেছ ? ঐশ। বাড়ি কোন দিকে ভুলে গেছি ভাই ! পূর্ণ। আজ পথ ভোলবার মতোই রাতটা হয়েছে বটে। কী বল বিপিনবাৰু ? ঐশ। বিপিনবাবু এ-সকল বিষয়ে কোনো কথাই কন না, পাছে ওঁর ভিতরকার কবিত্ব ধরা পড়ে। কৃপণ যে জিনিসটার বেশি আদর করে সেইটেকেই মাটির নীচে পুতে রাখে।