পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (চতুর্থ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/৩৩৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

প্রজাপতির নির্বদ্ধ לאלט রসিক — অপসরতি ন চক্ষুষে মৃগাক্ষী রঞ্জনিরিয়ং চ ন যাতি নৈতি নিজা । চক্ষু’পরে মৃগাক্ষীর চিত্ৰখানি ভালে— রজনীও নাহি যায়, নিদ্ৰাও না আসে । অক্ষয়বাবুর অবস্থা আমি জানি মশায় ! অক্ষয়। তুমি কে হে ? রসিক। আমি রসিকচন্দ্র— দুই দিকে দুই যুবককে আশ্রয় করে ধৌবনসাগরে ভাসমান । অক্ষয়। এ বয়সে ধোঁবন সহ হবে না রসিকদাদ ! রসিক। যৌবনটা কোন বয়সে ষে সহ হয় তা তো জানি নে, ওটা অসহ ব্যাপার। শ্ৰীশবাবু আপনার কিরকম বোধ হচ্ছে। ঐশ। এখনো সম্পূর্ণ বোধ করতে পারি নি। রসিক। আমার মতো পরিণত বয়সের জন্তে অপেক্ষা করছেন বুঝি ? অক্ষয়দা, আজ তোমাকে বড়ো অন্তমনস্ক দেখাচ্ছে । অক্ষয় । তুমি তো অন্যমনস্ক দেখবেই, মনটা ঠিক তোমার দিকে নেই।— বিপিনবাবু, তুমি আমাকে খুজছিলে বললে বটে, কিন্তু খুব যে জরুরি দরকার আছে বলে বোধ হচ্ছে না, অতএব আমি এখন বিদায় হই— একটু বিশেষ কাজ আছে । [ প্রস্থান রসিক। বিরহী চিঠি লিখতে চলল। ঐশ। অক্ষয়বাৰু আছেন বেশ।— রসিকবাৰু, ওঁর স্ত্রীই বুঝি বড়ে বোন ? তার নাম ? রসিক। পুরবালা । বিপিন। (নিকটে আসিয়া ) কী নাম বললেন ? রসিক । পুরবালা । বিপিন। তিনিই বুঝি সব চেয়ে বড়ো ? রসিক । ই । বিপিন। সব ছোটোটির নাম ? রসিক । নীরবালা । ঐশ। জার, নৃপবালা কোনটি ? so রসিক । তিনি নীরবালার বড়ো ।