পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (চতুর্থ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/৩৬৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

প্রজাপতির নির্বন্ধ •86 চন্দ্র। ঠিক বলেছ ফেনি ! (আপন-মনে পাঠ) কী আশ্চর্ব ! আমি কি সকল বিষয়েই অন্ধ ! এতদিন তো আমি কিছুই বুঝতে পারি নি। নির্মল, পূর্ণবাবুর কোনো ব্যবহার কি কখনো তোমার কাছে— নির্মলা। হুঁ, পূর্ণবাবুর ব্যবহার আমার কাছে মাঝে মাঝে অত্যন্ত নির্বোধের মতে ঠেকেছিল । চন্দ্র। অথচ পূর্ণবাবু খুব বুদ্ধিমান। তা হলে তোমাকে খুলে বলি– পূর্ণবাৰু বিবাহের প্রস্তাব করে পাঠিয়েছেন— নির্মলা। তুমি তো তার অভিভাবক নও-– তোমার কাছে প্রস্তাব— চন্দ্র । আমি যে তোমার অভিভাবক— এই পড়ে দেখো । নির্মলা । ( পত্র পড়িয়া রক্তিমমুখে ) এ হতেই পারে না। চন্দ্র। আমি তাকে কী বলব ? নির্মলা । বোলো কোনোমতে হতেই পারে না। চন্দ্র। কেন নির্মল, তুমি তো বলছিলে কুমারব্রত পালনের নিয়ম সভা হতে উঠিয়ে দিতে তোমার আপত্তি নেই। o নির্মলা । তাই বলেই কি যে প্রস্তাব করবে তাকেই— চন্দ্র। পূর্ণবাৰু তো ঘে-সে নয়, অমন ভালো ছেলে— নির্মলা। মাম, তুমি এ-সব বিষয়ে কিছুই বোঝ না, তোমাকে বোঝাতে পারবও मां- उषांभांद्र कांख च्षां८छ् । [ প্রস্থানোদ্যম মাম, তোমার পকেটে ওটা কী উচু হয়ে আছে ? চন্দ্র। ( চমকিয়া উঠিয়া) ই ই, ভুলে গিয়েছিলেম– বেহার আজ সকালে তোমার নামে লেখা একটা কাগজ আমাকে দিয়ে গেছে— নির্মলা । ( তাড়াতাড়ি কাগজ লইয়া ) দেখো দেখি মামা, কী অস্তায়, অবলাকান্তবাবুর লেখাটা সকালেই এসেছে আমাকে দাও নি ? আমি ভাবছিলেম তিনি হয়তে ভূলেই গেছেন– ভারি অন্তায় । চন্দ্র। অন্তায় হয়েছে বটে। কিন্তু এর চেয়ে ঢের বেশি জন্তায় ভুল আমি প্রতিদিনই করে থাকি ফেনি, তুমিই তো আমাকে প্রত্যেকবার সহস্তে মাপ করে করে প্রশ্রয় দিয়েছ । 1 * নির্মলা। না, ঠিক অন্তায় নয়— আমিই অবলাকাস্তবাবুর প্রতি মনে মনে অন্যায় করছিলেম, ভাবছিলেম— এই-ৰে রসিকবাৰু আসছেন। আম্বন রসিকবাৰু, মামা ५रेषांप्नरै चां८इम । w