পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (চতুর্থ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/৩৭৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

OH রবীন্দ্র-রচনাবলী করবার স্থবিধা পেয়েছিলুম, কিন্তু এতই অধম যে দগুনীয় বলেও গণ্য হলেম না, ক্ষমা পাবার যোগ্যতাও লাভ করলেম-না ! রসিক। বিপিনবাবু, একেবারে হতাশ হবেন না। শাস্তি অনেক সময় বিলম্বে আসে, কিন্তু নিশ্চিত আসে। ফস করে মুক্তি না পেতেও পারেন। ভূত্যের প্রবেশ ভৃত্য। জলখাবার তৈরি। [ নৃপ ও নীরর প্রস্থান শ্ৰীশ । আমরা কি দুর্ভিক্ষের দেশ থেকে আসছি রসিকবাৰু? জলখাবারের জন্তে এত তাড়া কেন । রসিক। মধুরেণ সমাপয়েৎ । শ্ৰীশ । (নিশ্বাস ফেলিয়) কিন্তু সমাপনট তে মধুর নয়। ( জনাস্তিকে বিপিনের প্রতি ) কিন্তু বিপিন, এদের তো প্রতারণা করে যেতে পারব না ! বিপিন । ( জনাস্তিকে ) তা যদি করি তবে আমরা পাষণ্ড । শ্ৰীশ । ( জনাস্তিকে ) এখন আমাদের কর্তব্য কী । বিপিন । ( জনাস্তিকে ) সে কি আর জিজ্ঞাস করতে হবে ? রসিক। আপনারা দেখছি ভয় পেয়ে গেছেন ! কোনো আশঙ্কা নেই, শেষকালে যেমন করেই হোক আমি আপনাদের উদ্ধার করবই। [ সকলের প্রস্থান অক্ষয় ও জগত্তারিণীর প্রবেশ জগত্তারিণী। দেখলে তো বাবা, কেমন ছেলে দুটি ? অক্ষয় । মা, তোমার পছন্দ ভালো, এ কথা অামি তে অস্বীকার করতে পারি নে। জগত্তারিণী। মেয়েদের রকম দেখলে তো বাবা! এখন কান্নাকাটি কোথায় গেছে তার ঠিক নেই! অক্ষয়। ওই তো ওদের দোষ । কিন্তু মা, তোমাকে নিজে গিয়ে আশীর্বাদ দিয়ে ছেলে দুটিকে দেখতে হচ্ছে । 植 জগত্তারিণী। সে কি ভালো হবে অক্ষয় ? ওরা কি পছন্দ জানিয়েছে অক্ষয়। খুব জানিয়েছে। এখন তুমি নিজে এসে আশীৰ্বাদ করে গেলেই চটপটু স্থির হয়ে যায় ! # জগত্তারিণী। তা বেশ, তোমরা যদি বল তো যাব। আমি ওদের মার বয়সী, আমার লজ কিসের ।