পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (চতুর্থ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/৩৯৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

७१२ ब्ररौौठ-ब्रळ्नांबलौ छेउचना छैखरब्रांडद्र ७ऊहे इश्९ इहेब्रां ऊँळ cर, बांश्व चांऋग्न श्रेष्ठ बांइ । প্রতিযোগিতার নিষ্ঠুর তাড়নায় কর্মজীবীরা যন্ত্রের অধম হয়। বাহির হইতে সভ্যতার বৃহৎ আয়োজন দেখিয়া স্তভিত হই– তাহার তলদেশে ৰে নিদারুণ নরমেধযজ্ঞ অহোরাত্র অঙ্কুষ্ঠিত হইতেছে তাহা গোপনে থাকে। কিন্তু বিধাতার কাছে তাহা । গোপন নহে— মাঝে মাঝে সামাজিক ভূমিকম্পে তাহার পরিণামের সংবাদ পাওয়া ষায় । যুরোপে বড়ো দল ছোটো দলকে পিষিয়া ফেলে, বড়ো টাকা ছোটো টাকাকে উপবাসে ক্ষীণ করিয়া জানিয়া শেষকালে বটিকার মতো চোখ বুজিয়া গ্রাস করিয়া ফেলে । কাজের উদ্যমকে অপরিমিত বাড়াইয়া তুলিয়া, কাজগুলাকে প্রকাও করিয়া, কাজে কাজে লড়াই বাধাইয়া দিয়া, ষে অশান্তি ও অসন্তোষের বিষ উন্মথিত হইয়া উঠে, আপাতত সে অালোচনা থাকৃ। আমি কেবল ভাৰিয়া দেখিতেছি, এই-সকল কৃষ্ণধূমশ্বসিত দানবীয় কারখানাগুলার ভিতরে বাহিরে চারি দিকে মানুষগুলাকে ষে ভাবে তাল পাকাইয়া থাকিতে হয়, তাহাতে তাহীদের নির্জনত্বের সহজ অধিকার, একাকিত্বের আবৃক্কটুকু থাকে না । না থাকে স্থানের অবকাশ, না থাকে কালের অবকাশ, না থাকে ধ্যানের অবকাশ। এইরূপে নিজের সঙ্গ নিজের কাছে অত্যন্ত অনভ্যস্ত হইয়া পড়াতে, কাজের একটু ফাক হইলেই মদ খাইয়া, প্রমোজে মাতিয়া, বলপূর্বক নিজের হাত হইতে নিষ্কৃতি পাইবার চেষ্টা ঘটে । নীরব থাকিবার, স্তৰ থাকিবার, আনন্দে থাকিবার সাধ্য অার কাহারও থাকে না । যাহারা শ্রমজীবী তাহীদের এই দশা । বাহারা ভোগী তাহারা ভোগের নব নৰ উত্তেজনায় ক্লান্ত। নিমন্ত্রণ খেলা নৃত্য ঘোড়দৌড় শিকার ভ্রমণের ঝড়ের মুখে শুদ্ধপত্রের মতো দিনরাত্রি তাহারা নিজেকে আবর্তিত করিয়া বেড়ায়। ঘূর্ণাগতির মধ্যে কেহ কখনো নিজেকে এবং জগৎকে ঠিকভাবে দেখিতে পায় না, সমস্তই অত্যন্ত বাপসা দেখে। যদি এক মুহূর্তের জন্ত তাহার প্রমোনচক্ষ খামিয়া যায়, তবে সেই ক্ষণকালের জন্ত নিজের সহিত সাক্ষাৎকার, বৃহৎ জগতের সহিত মিলনলাত, তাহার পক্ষে অত্যন্ত দুঃসহ বোধ হয়। ভারতবর্ষ ভোগের নিবিড়তাকে আত্মীয় স্বজন প্রতিবেশীর মধ্যে ব্যাপ্ত কল্পির লঘু করিয়া দিয়াছে, এবং কর্মের জটিলতাকেও সরল কৰিয়া জানিয়া মাছৰে মাছমে বিভক্ত করিয়া দিয়াছে । ইহাতে ভোগে কর্মে এবং ধ্যানে প্রত্যেকেরই মকুন্যস্বচর্চার যথেষ্ট অবকাশ থাকে। ব্যবসায়ী— সেও মন দিয়া কথকতা শোনে, ক্রিয়াকর্ম করে ; শিল্পী— সেও নিশ্চিন্থমনে স্বর করিয়া রামায়ণ পড়ে। এই ঘৰকাশের বিষ্কারে