পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (চতুর্থ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/৪১০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

চাহি না । কিন্তু এই ঘটনাটি উপলক্ষ্য করিয়া বে-সকল গুরুতর চিন্তার বিষয় আমাদের মনে উঠিয়াছে তাহ ব্যক্ত করিবার সময় উপস্থিত। বিচারক এই ঘটনাটিকে তুচ্ছ বলেন– কাজেও দেখিতেছি ইহা তুচ্ছ হইয়া উঠিয়াছে, স্বতরাং তিনি অন্যায় বলেন নাই। কিন্তু এই ঘটনাটি তুচ্ছ বলিয়া গণ্য হওয়াতেই বুঝিতেছি, আমাদের সমাজের বিকার দ্রুতবেগে অগ্রসর হইতেছে। ইংরাজ যাহাকে প্রেস্ট্রিজ, অর্থাৎ তাহাদের রাজসম্মান বলেন, তাহাকে মূল্যবান জ্ঞান করিয়া থাকেন। কারণ, এই প্রেক্টিজের জোর অনেক সময়ে সৈন্তের কাজ করে। যাহাকে চালনা করিতে হইবে তাহার কাছে প্রেষ্টিজ রাখা চাই। বোয়ার যুদ্ধের আরম্ভকালে ইংরাজ-সাম্রাজ্য যখন স্বল্পপরিমিত কৃষকসম্প্রদায়ের হাতে বার বার অপমানিত হুইতেছিল তখন ইংরাজ ভারতবর্ষের মধ্যে যত সংকোচ অহুভব করিতেছিল এমন আর কোথাও নহে। তখন আমরা সকলেই বুঝিতে ইংরাজের বুট এ লে ৰে গা জেন আতৰ বােল নাম আমাদের দেশে এক কালে ব্রাহ্মণের তেমনি একটা প্রেষ্টিজ ছিল। কারণ সনাকালীর তীৰ বারে উপরেই নিবন্ধ ৰাতি এই কাৰক লৈ করিতেছেন কি না এবং সমাজরক্ষা করিতে হইলে যে-সকল নিঃস্বার্থ মহাগুণ থাকা উচিত সে-সমস্ত র্তাহীদের আছে কি না, সে কথা কাহারও মনে উদয় হয় নাই— যতদিন সমাজে তাহদের প্রেষ্টিজ ছিল । ইংরাজের পক্ষে তাহার প্রেষ্টিজ স্বেরূপ মূল্যবান ব্রাহ্মণের পক্ষেও তাহার নিজের প্রেষ্টিজ সেইরূপ। আমাদের দেশে সমাজ ষে ভাবে গঠিত, তাহাতে সমাজের পক্ষেও ইহার རྒྱུ་བས་ གསར་ আবখ্যক আছে বলিয়াই সমাজ এত সন্মান ব্রাহ্মণকে দিয়া | আমাদের দেশের সমাজতন্ত্র একটি স্ববৃহৎ ব্যাপার। సిసిఫిసిసి হইতে, জ্বলন হইতে, রক্ষা করিবার চেষ্টা করিয়া আসিয়াছে । যদি এরূপ ন হইত তবে ইংরাজ তাহার পুলিশ ও ফৌজের দ্বারা এতবড়ো দেশে এমন আশ্চর্ষ শাস্তিস্থাপন করিতে পারিতেন না। নবাৰ-বাদশাহের আমলেও নানা রাজকীয় অশান্ধিসত্বেও সামাজিক শান্তি চলিয়া আসিতেছিল— তখনো লোকব্যবহার শিথিল হয় নাই, ৰাজানপ্রদানে সততা রক্ষিত হইত, মিথ্য সাক্ষ্য নিন্দিত হইত, ঋণী উত্তমর্শকে ফাকি বিস্ত না এবং সাধারণ ধর্মের বিধানগুলিকে সকলে সরল বিশ্বাসে সম্মান করিত। ।