পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (চতুর্থ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/৪১৪

ও৯২ রবীজ-রচনাবলী বাড়াইতে হয়। ঘূরিয়া নৃত্য করিয়া বা সশৰে বাদ্য বাজাইয়া, নিজেকে উদভ্ৰান্ত ও মূৰ্ছাম্বিত করিয়া, যে ধর্মোন্মাদের বিলাস সভোগ করা যায় তাহাও কৃত্রিম। তাহাতে অভ্যাস জন্সিয়া গেলে, তাহ অহিফেনের নেশার মতো আমাদিগকে অবসাদের সময় কেবলই তাড়না করিতে থাকে। আত্মসমাহিত শান্ত একনিষ্ঠ সাধনা ব্যতীত যথার্থ স্থায়ী মূল্যবান কোনো জিনিস পাওয়া যায় না ও স্থায়ী মূল্যবান কোনো জিনিস রক্ষা করা যায় না। অথচ আবেগ ব্যতীত কাজ ও কাজ ব্যতীত সমাজ চলিতে পারে না। এই জন্তই ভারতবর্ষ আপন সমাজে গতি ও স্থিতির সমন্বয় করিতে চাহিয়াছিল। ক্ষত্রিয় বৈশ্ব প্রভৃতি যাহার হাতে কলমে সমাজের কার্যসাধন করে তাহাজের কর্মের সীমা নির্দিষ্ট ছিল। এই জন্তই ক্ষত্রিয় ক্ষাত্রধর্মের আদর্শ রক্ষা করিয়া নিজের কর্তব্যকে ধর্মের মধ্যে গণ্য করিতে পারিত। স্বার্থ ও প্রবৃত্তির উর্ধ্বে ধর্মের উপরে কর্তব্য স্থাপন করিলে, কাজের মধ্যেও বিশ্রাম এবং আধ্যাত্মিকতালাভের অবকাশ পাওয়া যায় । যুরোপীয় সমাজ ৰে নিয়মে চলে তাহাতে গতিজনিত বিশেষ একটা ক্টোকের মুখেই অধিকাংশ লোককে ঠেলিয়া দেয়। সেখানে বুদ্ধিজীবী লোকের রাষ্ট্রীয় ব্যাপারেই কুকিয়া পড়ে, সাধারণ লোকে অর্থোপার্জনেই ভিড় করে। বর্তমানকালে সাম্রাজ্যলোলুপতা সকলকে গ্রাস করিয়াছে এবং জগং জুড়িয়া লঙ্কাভাগ চলিতেছে। এমন সময় হওয়া বিচিত্র নহে যখন বিশুদ্ধজ্ঞানচর্চা যথেষ্ট লোককে আকর্ষণ করিবে না। এমন সময় আসিতে পারে যখন জাবগুক হইলেও সৈন্ত পাওয়া বাইবে না । কারণ, প্রবৃত্তিকে কে ঠেকাইবে ? যে জর্মনি এক দিন পণ্ডিত ছিল সে জর্মনি যদি বণিক হইয়া দাড়ায়, তবে তাহার পাণ্ডিত্য উদ্ধার করিবে কে ? যে ইংরাজ এক দিন ক্ষত্রিয়তাবে জার্তভ্রাণত্রত গ্রহণ করিয়াছিল সে যখন গায়ের জোরে পৃথিবীর চতুর্দিকে নিজের দোকানদারি চালাইতে ধাবিত হইয়াছে, তখন তাহাকে তাহার সেই পুরাতন উয়ার ক্ষত্রিয়ভাবে ফিরাইয়া জানিবে কোন শক্তিতে ? এই ক্টোকের উপরেই সমস্ত কর্তৃত্ব না দিয়া সংযত ৰূপৃঙ্খল কর্তব্যবিধানের উপরে কর্তৃত্বভার দেওয়াই ভারতবর্ষীয় সমাজপ্রণালী। সমাজ যদি সজীব থাকে, ৰাছিরের জাঘাতেৰ দ্বারা অভিভূত হইয়া না পড়ে, তবে এই প্রণালী অনুসারে সকল সময়েই সমাজে সামগ্ৰস্ত থাকে- এক দিকে হঠাৎ ছড়ামুড়ি পড়িয়া অন্ত দিক শূন্ত হইয়া वांइ न । गकरणहे चांगन चांश्न ब्रक कट्द्र भवः जांनन कांब कबिश cनौबत কোষ করে ।