পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (চতুর্থ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/৪২২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

3е е ब्रवैौट्द्र-ब्रछनांवलौ সমস্ত বৃক্ষকে আপনার করিতে পারি না। তাহাজের সেই অতীতকাল আমাদের অতীত । * কিন্তু আমাদের ভারতবর্ষের অতীত যদি বা যত্বের অভাবে আমাদিগকে ফল দেওয়া বন্ধ করিয়াছে, তবু সেই বৃহৎ অতীত ধ্বংস হয় নাই, হইতে পারে না ; সেই অতীতই ভিতরে থাকিয়া আমাদের পরের নকলকে বারংবার অসংগত ও অকৃতকাৰ করিয়া তুলিতেছে। সেই অতীতকে অবহেলা করিয়া যখন আমরা নূতনকে আনি তখন অতীত নিঃশৰে তাহার প্রতিশোধ লয়— মৃতনকে বিনাশ করিয়া, পচাইয়া, বায়ু দূষিত করিয়া দেয়। আমরা মনে করিতে পারি, এইটে আমাদের নূতন দরকার, কিন্তু অতীতের সঙ্গে সম্পূর্ণ আপোষে যদি রফ নিস্পত্তি না করিয়া লইতে পারি, তবে আবশ্বকের দোহাই পাড়িয়াই ষে দেউড়ি খোলা পাইব তাহা কিছুতেই নহে। নূতনটাকে সিদ্ধ কাটিয়া প্রবেশ করাইলেও, মৃতনে পুরাতনে মিশ না খাইলে সমস্তই পও হয়। সেইজন্য আমাদের অতীতকেই নূতন বল দিতে হইবে, নূতন প্রাণ দিতে হইবে। শুষ্কভাবে শুদ্ধ বিচারবিতর্কের দ্বারা সে প্রাণসঞ্চার হইতে পারে না। যেরূপ ভাৰে চলিতেছে সেইরূপ ভাবে চলিয়া যাইতে দিলেও কিছুই হইবে না। প্রাচীন ভারতের মধ্যে যে একটি মহান ভাব ছিল, যে ভাবের আনন্দ্বে আমাদের মুক্তহৃদয় পিতামহগণ ধ্যান করিতেন, ত্যাগ করিতেন, কাজ করিতেন, প্রাণ দিতেন, সেই ভাবের আনন্দে, সেই ভাবের অমৃতে আমাদের জীবনকে পরিপূর্ণ করিয়া তুলিলে, সেই আনন্দই অপূর্ব শক্তিবলে বর্তমানের সহিত অতীতের সমস্ত বাধাগুলি আভাবনীয়রূপে বিলুপ্ত করিয়া দিবে। জটিল ব্যাখ্যার দ্বারা জাদু করিবার চেষ্টা না করিয়া, অতীতের রসে হৃদয়কে পরিপূর্ণ করিয়া দিতে হইবে। তাহ দিলেই আমাদের প্রকৃতি আপনার কােজ আপনি করিতে থাকিবে। সেই প্রকৃতি যখন কাজ করে তখনই কাজ হয়— তাহার কাজের হিসাব আমরা কিছুই জানি না— কোনো বুদ্ধিমান লোকে বা বিদ্বান লোকে এই কাজের নিয়ম বা উপায় কোনোমতেই আগে হইতে বলিয়া দিতে পারে না। তর্কের দ্বারা তাহারা যেগুলিকে বাধা মনে করে সেই বাধাগুলিও সহায়তা করে, যাহাকে ছোটো বলিয়া প্রমাণ করে সেও বড়ো হইয় উঠে । কোনো জিনিসকে চাই বলিলেই পাওয়া ৰায় না— অতীতের সাহায্য এক্ষণে আমাদের দরকার হইয়াছে বলিলেই যে তাছাকে সর্বতোভাবে পাওয়া বাইবে তাহা কখনোই না। সেই অতীতের ভাবে যখন আমাদের বুদ্ধি-মন-প্রাণ অভিষিক্ত হইয়া উঠিবে তখন দেখিতে পাইব নৰ নৰ আকারে নৰ নৰ বিকাশে আমাদের