পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (চতুর্থ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/৪২৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8eS ब्रवैौटश-ब्रळ्नांवलौ হইয় তাহা হইতে নিষ্কৃতির কোনো পথ খুজিয়া পাইতেছে না, সে নানা দিকে নানা আঘাত করিতেছে— ভারতবর্ষে র্যাহার ক্ষত্রিত্ৰত বৈশুব্রত গ্রহণ করিবার অধিকারী আজ তাহারা ধর্মের দ্বারা কর্মকে জগতে গৌরবান্বিত করুন— তাহার প্রবৃত্তির অনুরোধে নহে, উত্তেজনার অনুরোধে নহে, ধর্মের অনুরোধেই অবিচলিত নিষ্ঠার সহিত, ফলকামনায় একান্ত আসক্ত না হইয়া, প্রাণ সমর্পণ করিতে প্রভত হউন। নতুবা ব্রাহ্মণ প্রতিদিন শূদ্ৰ, সমাজ প্রত্যহ ক্ষুদ্র এবং প্রাচীন ভারতবর্ষের মাহাত্ম্য যাহা অটল পর্বতশৃঙ্গের ন্যায় দৃঢ় ছিল তাহ দূরস্বত ইতিহাসের দিকৃপ্রান্তে মেঘের ন্যায়, কুহেলিকার ন্যায়, বিলীন হইয়। যাইবে এবং কর্মক্লাস্ত একটি বৃহৎ কেরানিসম্প্রদায় এক পাটি বৃহৎ পাদুকা প্রাণপণে আকর্ষণ করিয়া ক্ষুদ্র কৃষ্ণপিপীলিকাশ্রেণীর মতো মৃত্তিকাতলবর্তী বিবরের অভিমুখে ধাবিত হওয়াকেই জীবনযাত্রানির্বাহের একমাত্র পদ্ধতি বলিয়া গণ্য করিবে । আষাঢ় \రి 6 సె চীনেম্যানের চিঠি ‘জন চীনেম্যানের চিঠি’ বলিয়া একখানি চটি বই ইংরাজিতে বাহির হইয়াছে। চিঠিগুলি ইংরাজকে সম্বোধন করিয়া লেখা হইয়াছে। লেখক নিজের বিষয়ে বলেন— দীর্ঘকাল ইংলণ্ডে বাস করার দরুন তোমাদের (ইংরাজদের ) জাচার অনুষ্ঠান -সম্বন্ধে কথা কহিবার কিছু অধিকার আমার জন্সিয়াছে। অপর পক্ষে, স্বদেশ হইতে দূরে অাছি বলিয়া আমাদের সম্বন্ধেও আলোচনা করিবার ক্ষমতা খোওয়াইয়া বসি নাই। চীনেম্যান সর্বত্রই সর্বদাই চীনেম্যানই থাকে ; এবং কোনো কোনো বিশেষ দিক হইতে বিলাতি সভ্যতাকে আমি যতই পছন্দ করি-না কেন, এখনো ইহার মধ্যে এমন কিছু দেখি নাই যাহাতে পূর্বদেশের মাছুষ হইয়া জন্সিয়াছি বলিয়া আমার মনে কোনোপ্রকার ক্ষোভ হইতে পারে।’ ইংরাজি ভাষায় লেখকের অসামান্ত দখল দেখিলেই বুঝা যায় যে, ইংরাজি শিক্ষায় ইনি পাকা হইয়াছেন– এইজন্ত বিলাত সম্বন্ধে ইনি যাহা বলিয়াছেন তাহাকে নিতান্ত অনভিজ্ঞ লোকের অত্যুক্তি বলিয়া গণ্য করা যায় না। . . .