পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (চতুর্থ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/৪৬৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ब्रिट्ठञ्वई 88S অত্যুক্তি विञि-वब्रवीरब्रव्र कन्यांनकांप्न णिषिद्ध পৃথিবীর পূর্বকোণের লোক, অর্থাৎ আমর, অত্যুক্তি অত্যন্ত ব্যবহার করিয়া থাকি ; আমাদের পশ্চিমের গুরুমশায়দের কাছ হইতে ইহা লইয়া আমরা প্রায় বকুনি খাই। ধাহারা সাত সমুদ্র পার হইয়া আমাদের ভালোর জন্ত উপদেশ দিতে আসেন র্তাহাদের কথা আমাদের নতশিরে শোনা উচিত। কারণ, তাহারা যে হতভাগ্য আমাদের মতো কেবল কথাই বলিতে জানেন তাহা নহে, কথা যে কী করিয়া শোনাইতে হয় তাহাও উহাদের অবিদিত নাই। আমাদের দুটো কানের উপরেই তাহাদের দখল সম্পূর্ণ। আচারে উক্তিতে আতিশয্য ভালো নহে, বাক্যে ব্যবহারে সংযম আবশ্যক, এ কথা আমাদের শাস্ত্রেও বলে। তাহার ফল যে ফলে নাই তাহ বলিতে পারি না। ইংরেজের পক্ষে আমাদের দেশশাসন সহজ হইত না, যদি আমরা গুরুর উপদেশ না মানিতাম। ঘরে বাহিরে এত দিনের শাসনের পরেও যদি আমাদের উক্তিতে কিছু পরিমাণাধিক্য থাকে তবে ইহা নিশ্চয়, সেই অত্যুক্তি অপরাধের নহে, তাহ আমাদের একটা বিলাসমাত্র । আসল কথা, সকল জাতির মধ্যেই অত্যুক্তি ও আতিশয্য আছে। নিজেরটাকেই অত্যন্ত স্বাভাবিক ও পরেরটাকেই অত্যন্ত অসংগত বোধ হয়। যে প্রসঙ্গে আমাদের কথা আপনি বাড়িয়া চলে সে প্রসঙ্গে ইংরেজ চুপ, যে প্রসঙ্গে ইংরেজ অত্যন্ত বেশি বকিয়া থাকে সে প্রসঙ্গে আমাদের মুখে কথা বাহির হয় না। আমরা মনে করি ইংরেজ বড়ো বাড়াবাড়ি করে, ইংরেজ মনে করে প্রাচ্যলোকের পরিমাণবোধ নাই। আমাদের দেশে গৃহস্থ অতিথিকে সম্বোধন করিয়া বলে, “সমস্ত আপনারই— আপনারই ঘর, আপনারই বাড়ি। ইহা অত্যুক্তি। ইংরেজ তাহার নিজের রান্নাঘরে প্রবেশ করিতে হইলে রাধুনিকে জিজ্ঞাসা করে, ঘরে ঢুকিতে পারি কি ? এ এক রকমের অত্যুক্তি। , ' , * স্ত্রী চুনের বাটি সরাইয়া দিলে ইংরেজ স্বামী বলে, জামার ধন্যবাদ জানিবে। ইহা অত্যুক্তি। নিমন্ত্রণকারীর ঘরে চর্বাচোন্ত খাইয় এবং বাধিয়া এ-দেশীয় নিমজিত বলে বড় পরিতোষ লাভ করিলাম, অর্থাৎ মামার পরিতোষই তোমার