পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (চতুর্থ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/৪৭৩

ভারতবর্ষ 86 X ङांशं पनि विथT एब्र ठरव लब्जांब्र विषब्र, बनेि बां एछ ठरव *कांब्र विषञ्च नरन्मए बांई । সেখানকার পার্লামেন্টে পালামেন্ট সংগত ভাষায় এবং কখনো বা তাহা লঙ্ঘন করিয়াও বড়ে বড়ে লোককে মিথু্যক, প্রবঞ্চক, সত্যগোপনকারী বলা হইয়া থাকে। হয় এরূপ নিন্দাবাদকে অত্যুক্তিপরায়ণত বলিতে হয়, নয় ইংলণ্ডের পলিটিক্স মিথ্যার দ্বারা জীর্ণ এ কথা স্বীকার করিতে হয়। বাহা হউক, এ-সমস্ত আলোচনা করিলে এই কথা মনে উদয় হয় যে, বরঞ্চ অত্যুক্তিকে স্বম্পষ্ট অত্যুক্তিরূপে পোষণ করাও তালে, কিন্তু অত্যুক্তিকে স্থকৌশলে ছাটিয়া-ছুটিয়া তাহাকে বাস্তবের দলে চালাইবার চেষ্টা করা ভালো নহে— তাহাতে বিপদ অনেক বেশি। পূর্বেই বলিয়াছি, যেখানে দুইপক্ষে উভয়ের ভাষা বোঝে সেখানে পরস্পরের যোগে অত্যুক্তি আপনি সংশোধিত হইয়া আসে। কিন্তু দুর্ভাগ্যক্রমে বিলাতি অত্যুক্তি বোঝা আমাদের পক্ষে শক্ত । এইজন্ত তাহ অক্ষরে অক্ষরে বিশ্বাস করিয়া আমরা নিজের অবস্থাকে হান্তকর ও শোচনীয় করিয়া তুলিয়াছি। ইংরেজ বলিয়াছিল, “আমরা তোমাদের ভালো করিবার জন্তই তোমাদের দেশ শাসন করিতেছি, এখানে সাদাকালোয় অধিকারভেদ নাই, এখানে বাঘে গোরুতে এক ঘাটে জল খায়, সম্রাটশ্রেষ্ঠ মহাপুরুষ আকবর বাহ কল্পনা মাত্র করিয়াছিলেন আমাদের সাম্রাজ্যে তাঁহাই সত্যে ফলিতেছে । আমরা তাড়াতাড়ি ইহাই বিশ্বাস করিয়া আশ্বাসে স্ফীত হইয়া বসিয়া আছি। আমাদের দাবির আর অস্ত নাই। ইংরেজ বিরক্ত হইয়া আজকাল এইসকল অত্যুক্তিকে খর্ব করিয়া লইতেছে। এখন বলিতেছে, ‘ৰাহা তরবারি দিয়া জয় করিয়াছি তাহা তরবারি দিয়া রক্ষা করিব।” সাদা-কালোয় যে যথেষ্ট ভেদ আছে তাহা এখন অনেক সময়ে নিতান্ত গায়ে পড়িয়া নিতান্ত স্পষ্ট করিয়া দেখানো হইতেছে। কিন্তু তবু বিলাতি অত্যুক্তি এমনি স্বনিপুণ ব্যাপার যে, আজও আমরা দাবি ছাড়ি নাই, আজও আমরা বিশ্বাস জাকড়িয়া বসিয়া আছি, সেই সকল অত্যুক্তিকেই আমাদের প্রধান দলিল করিয়া আমাদের জীর্ণচীরপ্রান্তে বহু ধত্বে বাধিয়া রাখিয়াছি। অথচ আমরা প্রত্যক্ষ দেখিতেছি, এক সময়ে ভারতবর্ষ পৃথিবীকে কাপড় জোগাইয়াছে, আজি সে পরের কাপড় পরিয়া লজ বাড়াইতেছে— এক সময়ে ভারতভূমি অন্নপূর্ণ ছিল, আজ হাঙ্গে লম্বী হইল লক্ষ্মীছাড়া – এক সময়ে ভারতে পৌরুষ রক্ষা করিবার অস্ত্র ছিল, আজ কেবল কেরানিগিরির কলম কাটার ছুটুিকু আছে। ইস্ট ইণ্ডিয়া কোম্পানি রাজৰ পাইয় অবধি ইচ্ছাপূর্বক চেষ্টাপূৰ্বৰ ছলে বলে কৌশলে ভারতের