পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (চতুর্থ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/৪৭৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ভারতবর্ষ 82% শাস্তি, ঘর ও বাহির, বিচিত্র জালেখ্যের দ্বারা মন্দিরকে বেষ্টন করিয়া আছে। এই ছবিগুলির মধ্যে আর কোনো উদ্দেশু দেখি না, কেবল এই সংসার যেমনভাবে চলিতেছে তাহাই জাকিবার চেষ্ট। স্বতরাং চিত্ৰশ্রেণীর ভিতরে এমন অনেক জিনিস চোখে পড়ে যাহা দেবালয়ে অন্ধনযোগ্য বলিয়া হঠাৎ মনে হয় না। ইহার মধ্যে বাছাবাছি কিছুই নাই— তুচ্ছ এবং মহৎ, গোপনীয় এবং ঘোষণীয়, রমন্তই अध्यक्ष । কোনো গির্জার মধ্যে গিয়া যদি দেখিতাম সেখানে দেয়ালে ইংরেজ-সমাজের প্রতিদিনের ছবি বুলিতেছে- কেহ খান খাইতেছে, কেহ ডগকারই হাকাইতেছে, কেহ হুইস্ট, খেলিতেছে, কেহ পিয়ানো বাজাইতেছে, কেহ সঙ্গিনীকে বাহুপাশে বেষ্টন করিয়া পলকা নাচিতেছে, তবে হতবুদ্ধি হইয়া ভাবিতাম, বুঝি বা স্বপ্ন দেখিতেছি— কারণ, গির্জা সংসারকে সর্বতোভাবে মুছিয়া ফেলিয়া আপন স্বৰ্গীয়তা প্রকাশ করিতে চেষ্টা করে। মাকুব সেখানে লোকালয়ের বাহিরে আসে ; তাহ যেন যথাসম্ভব মর্তসংস্পর্শবিহীন দেবলোকের অাদর্শ । t তাই, ভুবনেশ্বর-মন্দিরের চিত্রাবলীতে প্রথমে মনে বিস্ময়ের আঘাত লাগে। স্বভাবত হয়তো লাগিত না, কিন্তু আশৈশব ইংরেজি শিক্ষায় আমরা স্বর্গমর্তকে মনে মনে ভাগ করিয়া রাখিয়াছি। সর্বদাই সস্তপণে ছিলাম, পাছে দেব-অাদর্শে মানবভাবের কোনো আচ লাগে ; পাছে দেব মানবের মধ্যে ষে পরমপবিত্র স্থদুর ব্যবধান, ক্ষুদ্র মানব তাহা লেশমাত্র লঙ্ঘন করে। এখানে মাস্থ্য দেবতার একেবারে যেন গায়ের উপর আসিয়া পড়িয়াছে— তাও বে ধুলা বাড়িয়া আসিয়াছে তাও নয়। গতিশীল, কর্মরত, ধূলিলিপ্ত সংসারের প্রতিকৃতি নিসংকোচে সমুচ্চ হইয়া উঠিয়া দেবতার প্রতিমূর্তিকে আচ্ছন্ন করিয়া রহিয়াছে। 軒 মন্দিরের ভিতরে গেলাম— সেখানে একটিও চিত্র নাই, আলোক নাই, অনলংকৃত নিতৃত অঙ্কুটতার মধ্যে দেবমূর্তি নিস্তৰু বিরাজ করিতেছে। ইহার একটি বৃহৎ অর্থ মনে উদয় না হইয়া থাকিতে পারে না। মাচুব এই প্রস্তরের ভাষায় বাহ বলিবার চেষ্টা করিয়াছে তাহ সেই বহুদূৰ্বকাল হইতে আমার মনের মধ্যে ধ্বনিত হইয়া উঠিল। L সে কথা এই— দেবতা দূরে নাই, গির্জায় নাই, তিনি আমাদের মধ্যেই আছেন। তিনি জন্মমৃত্যু হুখদুঃখ পাপপুণ্য মিলনবিচ্ছেদের মাঝখানে অন্ধভাবে বিরাজমান। ७ऐ जश्नांब्ररे ऊँांशंद्र छिब्रखन बनिन्त्र । uहे जबौक्-जहकङम विशूल cनवांलग्न चश्ब्रह