চারিত্রপূজা 834 একবার গবর্মেন্টের কোনো অত্যুৎসাহী স্তৃত্য জাহানাবাদ মহকুমার ইনকট্যাক্স, ধার্ধের জন্ত উপস্থিত হন। জায়ের স্বল্পতাপ্রযুক্ত যে-সকল ক্ষুত্র ব্যবসায়ী ইনকট্যাক্সের অধীনে না জাসিতে পারে, গবর্মেন্টের এই স্থচতুর শিকারি তাহাজের দুই-তিন জনের নাম একত্র করিয়া ট্যাক্সের জালে বন্ধ করিতেছিলেন। বিদ্যাসাগর ইহা শুনিয়া তৎক্ষণাৎ খড়ার গ্রামে অ্যাসেসর্বাবুর নিকটে জাসিয়া জাপত্তি প্রকাশ করেন। বাবুটি তাহাতে কর্ণপাত না করিয়া অভিযোগকারীদিগকে ধমক দিয়া বাধ্য করিলেন। বিদ্যাসাগর তৎক্ষণাৎ কলিকাতায় আসিয়া লেফটেনেন্ট গবর্নরের নিকট বাদী হইলেন। লেফটেনেন্ট গবর্নর বর্ধমানের কালেক্টর হারিসন সাহেবকে তদন্ত-জন্ত প্রেরণ করেন। বিষ্ঠাসাগর হারিসনের সঙ্গে গ্রামে গ্রামে ব্যবসায়ীদের খাতাপত্র পরীক্ষা করিয়া বেড়াইতে লাগিলেন– এইরূপে দুইমাস কাল অনন্তমনা ও অনন্তকর্ম হইয়া তিনি এই অন্যায়নিবারণে কৃতকার্ধ হইয়াছিলেন।* বিদ্যাসাগরের জীবনে এরূপ দৃষ্টান্ত আরও অনেক দেওয়া যাইতে পারে। কিন্তু এরূপ দৃষ্টান্ত বাংলায় অন্তত্র হইতে সংগ্রহ করা দুষ্কর। আমাদের হৃদয় অত্যন্ত কোমল বলিয়া আমরা প্রচার করিয়া থাকি, কিন্তু আমরা কোনো বাঞ্চাটে যাইতে চাহি না। এই অলস শাস্তিপ্রিয়তা আমাদিগকে অনেক সময়েই স্বার্থপর নিষ্ঠুরতায় অবতীর্ণ করে। একজন জাহাজি গোরী কিছুমাত্র চিস্ত না করিয়া মজমান ব্যক্তির পশ্চাতে জলে ঝাপ দিয়া পড়ে ; কিন্তু একখানা নৌকা যেখানে বিপন্ন অন্য নৌকাগুলি তাহার কিছুমাত্র সাহায্যচেষ্টা না করিয়া চলিয়া যায়, এরূপ ঘটনা আমাদের দেশে সর্বদাই শুনিতে পাই। দয়ার সহিত বীর্ষের সম্মিলন না হইলে সে দয়া অনেক স্থলেই অকিঞ্চিৎকর হইয়া থাকে। কেবল ষে সংকট এবং অধ্যবসায়ের ক্ষেত্রে আমাদের অন্তঃপুরচারিণী দয়। প্রবেশ করিতে চাহে না তাহা নহে। সামাজিক কৃত্রিম শুচিতারক্ষার নিয়ম -লঙ্ঘনও তাহার পক্ষে দুঃসাধ্য। আমি জানি, কোনো এক গ্রাম্য মেলায় এক বিদেশী ব্রাহ্মণের মৃত্যু হইলে স্বণ করিয়া কেহই তাহার অন্ত্যেষ্টিসৎকারের ব্যবস্থা করে নাই, অবশেষে তাহার জয়পস্থিত আত্মীয়পরিজনের অন্তরে চিরশোকশল্য নিহিত করিয়া ডোমের দ্বারা মৃতদেহ শ্মশানে শৃগালকুকুরের মুখে ফেলিয়া আসা হয়। আমরা অতি সহজেই জাহ উজ্জ্ব’ এবং অশ্রপাত করিতে পারি, কিন্তু কৰ্মক্ষেত্রে পরোপকারের পখে জামরা সহস্ৰ স্বাভাবিক এবং কৃত্রিম বাধার দ্বারা পদে পদে প্রতিহত। বিজ্ঞা
- नप्रांश्च भकूछछ विकांबङ्ग-अनैछ विद्यांनीभत्रबीरबल्लविख
