পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (চতুর্থ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/৫২৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

. --s রবীন্দ্র-রচনাবলী সেইজন্ত র্তাহার লক্ষ্য, তাহার আচরণ, তাহার কার্ধপ্রণালী আমাদের মতো ছিল না। আমাদের সম্মুখে আছে আমাদের ব্যক্তিগত স্থখদুঃখ, ব্যক্তিগত লাভক্ষতি ; তাহার সম্মুখেও অবশ্ব সেগুলা ছিল, কিন্তু তাহার উপরেও ছিল তাহার অন্তজীবনের স্থখছুঃখ, মনোজীবনের লাভক্ষতি। সেই স্থখদুঃখ লাভক্ষতির নিকট বাহ সুখদুঃখ লাভক্ষতি কিছুই নহে। আমাদের বহির্জীবনেরও একটা লক্ষ্য আছে, তাহাকে সমস্ত জড়াইয়া এক কথায় স্বাৰ্থ বলা যায়। আমাদের খাওয়া-পর-শোওয়া, কাজকর্ম করা– সমস্ত স্বার্থের অঙ্গ । ইহাই আমাদের বহির্জীবনের মূলগ্রন্থি। মননের দ্বারা আমরা ষে অন্তজীবন লাভ করি তাহার মূল লক্ষ্য পরমার্থ। এই আম-মহল ও খাস-মহলের দুই কর্তা— স্বার্থ ও পরমার্থ। ইহাদের সামঞ্জস্তসাধন করিয়া চলাই মানবজীবনের আদর্শ। কিন্তু মধ্যে মধ্যে সংসারের বিপাকে পড়িয়া যে অবস্থায় ‘অর্ধং ত্যজতি পণ্ডিতঃ’ তখন পরমার্থকে রাখিয়া স্বার্থই পরিত্যাজ্য, এবং র্যাহার মনোজীবন প্রবল তিনি অবলীলাক্রমে সেই কাজ করিয়া থাকেন। অধিকাংশের মন সজীব নয় বলিয়া শাস্ত্রে এবং লোকাচারে আমাদের মনঃপুত্তলীযন্ত্রে দম দিয়া তাহাকে একপ্রকার কৃত্রিম গতি দান করে। কেবল সেই জোরে আমরা বহুকাল ধরিয়া দয়া করি না, দান করি— ভক্তি করি না, পূজা করি— চিন্তা করি না, কর্ম করি— বোধ করি না, অথচ সেইজন্যই কোনটা ভালো ও কোনটা মন্দ তাহ অত্যন্ত জোরের সহিত অতিশয় সংক্ষেপে চোখ বুজিয়া ঘোষণা করি। ইহাতে সজীব-দেবতা-স্বরূপ পরমার্থ আমাদের মনে জাগ্রত না থাকিলেও তাহার জড়প্রতিমা কোনোমতে আপনার ঠাট বজায় রাখে । এই নিজাবত ধরা পড়ে বাধা নিয়মের নিশ্চেষ্ট অনুসরণ -দ্বারা । যে সমাজে একজন অবিকল আর-একজনের মতো এবং এক কালের সহিত অন্ত কালের বিশেষ প্রভেদ খুজিয়া পাওয়া যায় না, সে সমাজে পরমার্থ সজীব নাই এবং মননক্রিয়া একেবারে বন্ধ হইয়া গেছে এ কথা নিশ্চয় বলা যাইতে পারে। আমাদের দেশের কবি তাই বলিয়াছেন ; গতানুগতিকো লোকো ন লোকঃ পারমার্থিকঃ । অর্থাৎ, লোক গতানুগতিক। লোক যে পারমার্থিক নহে এবং পারমাধিক লোক গতানুগতিক হইয়া থাকিতে পারেন না, কৰি এই নিগৃঢ় কথাটি चष्ट्रडद कब्रिध्नां८छ्न । विझांगांशंद्र चांब्र शांशंदे एछेब, गंठांश्नंठिक कृिष्णन मां । ८कम हिरणन मां ठांशंद्र यशांम कांद्रन, बननऔषमद्दे ॐांशंब्र मूथा औदन हिल ।