পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (চতুর্থ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/৫৫৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

চারিত্রপূজা IළුA মহাপুরুষ बश्र्दि cवप्रबनोरषद्र अोकनलाग्न श्रीछ জগতে যে-সকল মহাপুরুষ ধৰ্মসমাজ স্থাপন করিয়া গিয়াছেন তাহার বাহ। দিতে চাহিয়াছেন তাহ আমরা নিতে পারি নাই, এ কথা স্বীকার করিতে হইবে। শুধু পারি নাই যে তাহ নয়, আমরা এক লইতে হয়তো আর লইয়া বসিয়াছি। ধর্মের আসনে সাম্প্রদায়িকতাকে বরণ করিয়া হয়তো নিজেকে সার্থক জ্ঞান করিয়া নিশ্চিস্ত হইয়া আছি। তাহার একটা কারণ, আমাদের গ্রহণ করিবার শক্তি সকলের এক রকমের নয়। আমার মন যে পথে সহজে চলে অন্তের মন সে পথে বাধা পায়। আমাদের এই মানসিক বৈচিত্র্যকে অস্বীকার করিয়া সকল মামুষের জন্তই একই বাধা রাজপথ বানাইয়া দিবার চেষ্টা আমাদের মনে আসে, কারণ, তাহাতে কাজ সহজ হইয়া যায়— সে চেষ্টা এ পর্যন্ত সফল হয় নাই। সফল হওয়া যে অসাধ্য, তাহাও আমরা ভালো করিয়া বুঝিতে পারি নাই। সেইজন্ত ষে পথে আমি চলিয়া অভ্যন্ত বা আমার পক্ষে যাহা সহজ সেই পথই যে সকলের একমাত্র পথ নয়, কাহারও পক্ষে যে তাহ। দুর্গম হইতে পারে, এ কথা আমরা মনেও করিতে পারি না। এইজন্তই, এক পথেই সব মানুষকে টানা আমরা জগতের একমাত্র মঙ্গল বলিয়া মনে করি। এই টানাটানিতে কেহ আপত্তিপ্রকাশ করিলে আমরা আশ্চর্যবোধ করি, মনে করি— সে লোকটা হয় ইচ্ছা করিয়া নিজের হিত পরিত্যাগ করিতেছে, নয় তাহার মধ্যে এমন একটা হীনতা আছে যাহা অবজ্ঞার যোগ্য । কিন্তু ঈশ্বর আমাদের মনের মধ্যে গতিশক্তির ষে বৈচিত্র্য দিয়াছেন আমরা কোনো কৌশলেই তাহাকে একাকার করিয়া দিতে পারিব না। গতির লক্ষ্য এক, কিন্তু তাহার পথ অনেক। সব নদীই সাগরের দিকে চলিয়াছে, কিন্তু সবাই এক নদী হইয়া চলে নাই। চলে নাই, সে আমাদের ভাগ্য । ঈশ্বর কোনোমতেই আমাদের সকলকেই একটা বাধা পথে চলিতে দিবেন না। অনায়াসে চোখ বুজিয়া আমরা একজনের পশ্চাতে আর-একজন চলিব, ঈশ্বর আমাদের পথকে এত সহজ কোনোদিন করিবেন না। কোনো ব্যক্তি, তাহার যত বড়ো ক্ষমতাই থাক, পৃথিবীর সমস্ত মানবাত্মার জন্য নিশ্চেষ্ট জড়ত্বের স্বগমতা চিরদিনের জন্ত বানাইয়া দিয়া বাইবেন, মানুষের এমন দুৰ্গতি বিশ্ববিধাতা কখনোই