পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (চতুর্থ খণ্ড) - সুলভ বিশ্বভারতী.pdf/১২১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কল্পনা । পসারিনী ওগো পসারিনী, দেখি আয় । কী রয়েছে তব পসরায় । এত ভার মারি মরি • কেমনে রয়েছ ধরি 事 কোমল করুণ ব্লকান্তকায় ! কিসের দুরূহ দুরাশায় ! - সম্মুখে দেখো তো চাহি পথের যে সীমা নাহি, তপ্ত বালু অগ্নিবাণ হানে । পসারিনী, কথা রাখে— দূর পথে যেয়াে নাকো ক্ষণেক দাড়াও এইখানে । হেথা দেখো শাখা-ঢাকা বাধা বটতল কুলে কুলে ভরা দিঘি, কাকচক্ষু জল । ঢালু পাড়ি চারি পাশে কচি কচি কাচা ঘাসে ঘনশ্যাম চিকনকোমল । পাষণের ঘাটখানি, কেহ নাই জনপ্ৰাণী, আম্রবন নিবিড় শীতল । থাক তব বিকি-কিনি— ওগো শ্ৰান্ত পসারিনী, এইখানে বিছাও অঞ্চল । ব্যথিত চরণ দুটি ধুয়ে নিবে জলে, ” বনফুলে মালা গাথি পরি নিবে গলে । আম্রমঞ্জরীর গন্ধ t বহি আনি মৃদুমন্দ বায়ু তব উড়াবে অলকঘুঘু-ডাকে ঝিল্লিরবে: কী মন্ত্র শ্রবণে কবে, মুদে যাবে চোখের পলক । পসরা নামায়ে ভুমে যদি ঢুলে পড় ঘুমে, । অঙ্গে লাগে সুখালসঘোর— যদি ভুলে তন্দ্রাভরে ঘোমটা খসিয়া পড়ে, তাহে কোনো শঙ্কা নাহি তোর । যদি সন্ধ্যা হয়ে আসে, সূর্য যায় পাটে, পথ নাহি দেখা যায় জনশূন্য মাঠে— । নাই গেলে বহু দূরে, বিদেশের রাজপুরে, নাই গেলে রতনের হাটে । কিছু না করিয়ো ডর, কাছে আছে মোর ঘর, পথ দেখাইয়া যাব আগে | " | শশীহীন অন্ধ রাত, ধরিয়ো আমার হাত যদি মনে বড়ো ভয় লাগে । SS