পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (চতুর্থ খণ্ড) - সুলভ বিশ্বভারতী.pdf/১৫৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

> 28 রবীন্দ্ৰ-রচনাবলী ব্যাপ্ত করি, লুপ্ত করি, স্তরে স্তরে স্তবকে স্তবকে ঘনঘোরস্তুপে । কোথা হতে আচম্বিতে মুহুর্তেকে দিক দিগন্তর করি অন্তরাল স্নিগ্ধ কৃষ্ণ ভয়ংকর তোমার সঘন অন্ধকারে রহে ক্ষণকাল । বিদ্যুতে প্রকাশে, তোমার সংগীত যেন গগনের শত ছিদ্ৰমুখে বায়ুগর্জে আসে, তোমার বর্ষণ যেন পিপাসারে তীব্ৰ তীক্ষা বেগে বিদ্ধ করি হানেতোমার প্রশাস্তি যেন সুপ্ত শ্যাম ব্যাপ্ত সুগভীর স্তব্ধ রাত্রি আনে । এবার আস নি তুমি বসন্তের আবেশহিল্লোলে পুষ্পদল চুমি, এবার আস নি তুমি মর্মরিত কুজনে গুঞ্জনে— ধন্য ধন্য তুমি ! রাথচক্ৰ ঘর্ঘরিয়া এসেছ বিজয়ীরাজ-সম গবিত নিৰ্ভয়বজমস্ত্রে কী ঘোষিলে বুঝিলাম, নাহি বুঝিলাম, ୪୮୫ ଏ୭< ଔr ! সহজ প্ৰবল, জীর্ণ পুষ্পদল যথা ধ্বংস ভ্ৰংশ করি চতুদিকে পুরাতন পৰ্ণপুট দীর্ণ করি বিকীর্ণ করিয়া অপূর্ব আকারে তেমনি সবলে তুমি পরিপূর্ণ হয়েছ প্রকাশ প্ৰণমি তোমারে । তোমারে প্রণমি আমি, হে ভীষণ, সুস্নিগ্ধ শ্যামল, অৱকান্ত অমান্ন’ । সদ্যোজাত মহাবীর, কী এনেছ করিয়া বহন কিছু নাহি জান । উড়েছে তোমার ধ্বজা মেঘরান্ত্রাচ্যুত তপনের জ্বলন্দচিরেখাকরজোড়ে চেয়ে আছি। উধৰ্বমুখে, পড়িতে জানি না কী তাহাতে লেখা ।