পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (চতুর্থ খণ্ড) - সুলভ বিশ্বভারতী.pdf/১৬৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Y V» Ñ, झीझ-ब्रष्नांबर्वी কত যায় কত কব তা শুধু চিরদিন থাকে সেবাহীন ভাঙা দেউলের দেবতা । বৈশাখ হে ভৈরব, হে রুদ্র বৈশাখ ! তপঃক্লিষ্ট তপ্ত তনু, মুখে তুলি বিষাণ ভয়াল কারে দাও ডাক হে ভৈরব, হে রুদ্র বৈশাখ ! ছায়ামূর্তি যত অনুচর দগ্ধতাম্র দিগন্তের কোন ছিদ্র হতে ছুটে আসে ! কী ভীষ্ম অদৃশ্য নৃত্যে মাতি উঠে। মধ্যাহ্ন-আকাশে নিঃশব্দ প্রখর ছায়ামূর্তি তব অনুচর ! মত্তাশ্রমে শ্বাসিছে হুতাশ । রহি রহি দহি দহি উগ্ৰবেগে উঠিছে ঘুরিয়া, আবৰ্তিয়া তৃণপৰ্ণ, ঘূর্ণচ্ছন্দে শূন্যে আলোড়িয়া চুৰ্ণরেণুরাশ মত্তাশ্রমে শ্বাসিছে হুতাশ । দীপ্তচক্ষু হে শীর্ণ সন্ন্যাসী, পদ্মাসনে বস আসি রক্তনেত্ৰ তুলিয়া ললাটে, শুষ্কজাল নদীতীরে শস্যশূন্য তৃষাদীৰ্ণ মাঠে উদাসী প্ৰবাসী দীপ্তচক্ষু হে শীর্ণ সন্ন্যাসী ! লোলুপ চিতাগ্নিশিখা, লেহি লেহি বিরাট অম্বর, নিখিলের পরিত্যক্ত মৃত্যুস্তৃপ বিগত বৎসর করি। ভস্মসার । চিতা জ্বলে সম্মুখে তোমার । হে বৈরাগী, করো শান্তিপাঠ উদার উদাস কণ্ঠ যাক ছুটে দক্ষিণে ও বামে, যাক নদী পার হয়ে, যাক চলি গ্রাম হতে গ্রামে, পূৰ্ণ করি মাঠ । হে বৈরাগী, করো শান্তিপাঠ ।