পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (চতুর্থ খণ্ড) - সুলভ বিশ্বভারতী.pdf/১৮১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ক্ষণিকা গোল হতেছে, একটু থেমে থাকো, কৃপাণ-খোলা শিশুর খেলা রাখো খ্যাপার মতো কামান-ছোড়াছড়ি । একটুখানি সরে গিয়ে করো সঙের মতো সঙিন কাম-ঝমর । আজকে শুধু এক বেলারই তরে আমরা দোহে অমর দোহে অমর ।” বন্ধুজনে যদি পুণ্যফলে গলায় বস্ত্ৰ কবি নয়নজলে, “ভাগ্য নামে অতিবর্ষা-সম ! এক দিনেতে অধিক মেশামেশি। শ্রান্তি বড়োই আনে শেষাশেষি, জান তো ভাই, দুটি প্রাণীর বেশি এ কুলায়ে কুলায় নাকো মম | ফাগুন-মাসে ঘরের টানাটানি অনেক চাপা, অনেকগুলি ভ্ৰমর । ক্ষুদ্র আমার এই অমরাবতী— আমরা দুটি অমর, দুটি অমর ।” শাস্ত্ৰ পঞ্চাশোধের্ব বনে যাবে। এমন কথা শাস্ত্রে বলে, আমরা বলি বানপ্ৰস্থ যৌবনেতেই ভালো চলে । বনে এত বকুল ফোটে, গেয়ে মরে কোকিল পাখি, লতাপাতার অন্তরালে বড়ো সরস ঢাকাঢাকি । চাপার শাখে চাদের আলো, । সে সৃষ্টি কি কেবল মিছে ? এ-সব যারা বোঝে তারা । পঞ্চাশতের অনেক নীচে । পঞ্চাশোধের্ব বনে যাবে। এমন কথা শাস্ত্ৰে বলে, ” আমরা বলি বানপ্ৰস্থ । যৌবনেতেই ভালো চলে । Sዒ¢