পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (চতুর্থ খণ্ড) - সুলভ বিশ্বভারতী.pdf/২৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

SO রবীন্দ্ৰ-রচনাবলী যে ললিত সুখে হৃদয় অধীর মনে হল তাহা গত যামিনীর স্বলিত দলিত শুষ্ক কামিনীর মালিকা । ঘুমভাঙা আঁখি ফুটে থরে থরে অন্ধকার পথ কৌতুহলভারে নেহারি | ‘জাগো, ভিক্ষা দাও” সবে ডাকি ডাকি সুপ্ত সৌধে তুলি নিদ্রাহীন আঁখি শূন্য রাজবাটে চলেছে একাকী ভিখারি | ফেলি দিল পথে বণিক ধনিকা মুঠি মুঠি তুলি রতনকণিকা— কেহ কণ্ঠহার, মাথার মণিকা কেহ গো । ধনী স্বর্ণ আনে থালি পুরে পুরে, সাধু নাহি চাহে, পড়ে থাকে দূরেভিক্ষু কহে, ‘ভিক্ষা আমার প্রভুরে দেহো গো ।” বসনে ভূষণে ঢাকি গেল ধূলি, কনকে রতনে খেলিল বিজুলি, সন্ন্যাসী ফুকারে লয়ে শূন্য ঝুলি →(- ‘ওগো পৌরজন, করো অবধান, ভিক্ষু শ্রেষ্ঠ তিনি বুদ্ধ ভগবান, যতনে ৷” মিলে না প্রভুর যোগ্য কোনো ভেট, বিশাল নগরী লাজে রহে হেঁটিআননে । রৌদ্র উঠে ফুটে, জেগে উঠে দেশ, মহানগরীর পথ হল শেষ, পুরপ্রান্তে সাধু করিলা প্ৰবেশ दन्सन्स | দীন নারী এক ভূতলশয়ন না ছিল তাহার অশন ভূষণ, সে আসি নমিল সাধুর চরণকমলে ।