পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (চতুর্থ খণ্ড) - সুলভ বিশ্বভারতী.pdf/২৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

NRR রবীন্দ্ৰ-রচনাবলী অন্নপূর্ণা মা আমার লয়েছে বিশ্বের ভার, সুখে আছে সর্বচরাচর— মোরে তুমি, হে ভিখারি, মার কাছ হতে কড়ি করেছ। আপন অনুচর।” . সমাপন করি গান সারিয়া মধ্যাহ্নমান দুৰ্গদ্বারে আসিলা যখন— বালাজি নমিয়া তারে দাঁড়াইল এক ধারে পদমূলে রাখিয়া লিখন । ,তুলিয়া লইলা করে 5؟gܘ পড়িয়া দেখিলা পত্ৰখানি— বন্দি তার পাদপদ্ম শিবাজি সঁপিছে অদ্য তারে নিজ রাজ্য-রাজধানী । পরদিনে রামদাস গেলেন রাজার পাশ, কহিলেন, ‘পুত্র, কহাে শুনি, রাজ্য যদি মোরে দেবে কী কাজে লাগিবে এবে কোন গুণ আছে তব গুণী ?”

  • তোমারি দাসত্বে প্ৰাণ আনন্দে করিব দান

শিবাজি কহিলা নমি তারে । গুরু কহে, “এই বুলি । লাহাে তবে স্কন্ধে তুলি, চলো আজি ভিক্ষা করিবারে ।” শিবাজি গুরুর সাথে ভিক্ষাপাত্ৰ লয়ে হাতে ফিরিলেন পুরদ্বারে-দ্বারে । নৃপে হেরি ছেলেমেয়ে ভয়ে ঘরে যায় ধেয়ে, ডেকে আনে পিতারে মাতারে । অতুল ঐশ্বর্যেরত, তার ভিখারির ব্ৰত ! এ যে দেখি জলে ভাসে শিলা ! ভিক্ষা দেয় লজাভরে, হস্ত কঁপে থরথরে, ভাবে ইহা মহতের লীলা । দুৰ্গে দ্বিপ্রহর বাজে, ক্ষান্ত দিয়া কর্মকাজে বিশ্রাম করিছে পুরবাসী । একতারে দিয়ে তান রামদাস গাহে গান ‘ওহে ত্ৰিভূবনপতি, বুঝি না তোমার মতি, কিছুই অভাব তব নাহি— সবার সর্বস্বাধন চাহি ।”