পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (চতুর্থ খণ্ড) - সুলভ বিশ্বভারতী.pdf/২৬৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ক্ষণিকা নানা ছলে তাই ডাকি যে তোমায়কেহ কিছু নারে কহিতে । তোমার পথ যে তুমি চিনায়েছ। সে কথা বলি নে কাহারে । একা আসি তব দুয়ারে । স্তব্ধ তোমার উদার আলয়, বীণাটি বাজাতে মনে করি ভয়, চেয়ে থাকি শুধু নীরবে । চকিতে তোমার ছায়া দেখি যদি ফিরে আসি তবে গারবে । প্ৰভাত না হতে কখন আবার গৃহকোণ-মাঝে আসিয়া বাতায়নে বসি বিহবল বীণা ৷ বিজনে বাজাই হাসিয়া । পথ দিয়ে যে বা আসে যে বা যায় সহসা থমকি চমকিয়া চায়, মনে করে তারে ডেকেছিজানে না তো কেহ কত নাম দিয়ে এক নামখানি ঢেকেছি { ভোরের গোলাপ সে গানে সহসা সাড়া দেয়। ফুলকাননে, ভোরের তারাটি সে গানে জাগিয়া চেয়ে দেখে মোর আননে । সব সংসার কাছে আসে ঘিরে, হাসি জেগে ওঠে ভবনে । যে নামে যে ছলে বীণাটি বাজাই সাড়া পাই সারা ভুবনে । নিশীথে নিশীথে বিপুল প্রাসাদে তোমার মহলে মহলে হাজার হাজার সোনার প্রদীপ জ্বলে আচপল অনলে । , মোর দীপে জেলে তাহারি আলোক পথ দিয়ে আসি, হাসে কত লোক, দূরে যেতে হয় পালায়েতাই তো সে শিখা ভবনশিখরে পারি। নে রাখিতে জ্বালায়ে ।