পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (চতুর্থ খণ্ড) - সুলভ বিশ্বভারতী.pdf/২৮৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

নৈবেদ্য । দিন যায় ওগো দিন যায়, দিনমণি যায় অস্তে । নাহি হেরি বাট, দূরতীরে মাঠ ধূসর গোধূলিধূলিময় । ঘরের ঠিকানা হল না গো, মন করে। তবু যাই—যাই । ধ্রুবতারা তুমি যেথা জাগ সে দিকের পথ চিনি নাই । এত দিন তরী বাহিলাম, বাহিলাম তরী যে পথে, সে পথে ভরসা নাহি পাই । তীর-সাথে হেরো শত ডোরে বাধা আছে মোর তরীখান । ভাসিতে পারিলে বঁাচে প্ৰাণ । কোথা বুক-জোড়া খোলা হাওয়া, সাগরের খোলা হাওয়া কই ! কোথা মহাগান ভরি দিবে কান, কোথা সাগরের মহাগান ! SR JR মধ্যাহ্নে নগর-মাঝে পথ হতে পথে কর্মবন্যা ধায় যাবে উচ্ছলিত স্রোতে শত শাখা-প্ৰশাখায়, নগরের নাড়ী উঠে স্বকীত তপ্ত হয়ে, নাচে সে আছাড়ি পাষাণভিত্তির পরে—, চৌদিক আকুলি ধায় পাস্থ, ছুটে রথ, উড়ে শুষ্ক৷ ধূলি তখন সহসা হেরি মুদিয়া নয়ন মহাজনারণ্য-মাঝে অনন্ত নির্জন তোমার আসনখানি- কোলাহল-মাঝে তোমার নিঃশব্দ সভা নিস্তব্ধে বিরাজে । সব দুঃখে, সব সুখে, সব ঘরে ঘরে, সব চিত্তে সব চিন্তা সব চেষ্টা-’পরে যতদূর দৃষ্টি যায় শুধু যায় দেখা, হে সঙ্গবিহীন দেব, তুমি বসি একা ! ՀԳ Գ