পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (চতুর্থ খণ্ড) - সুলভ বিশ্বভারতী.pdf/২৮৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

নৈবেদ্য । পদ্মবন মরে য়ায়, হংস দলে দলে সারি বেঁধে উড়ে যায় সুদূর দক্ষিণে জনহীন কাশফুল্ল নদীর পুলিনে ; ; আবার বসন্তে তারা ফিরে আসে। যথা বহি লয়ে আনন্দের কলামুখরতা তেমনি আমার যত উড়ে-যাওয়া গান আবার আসুক ফিরে, মৌন এ পর্যান ভরি উতরোলে ; তারা শুনাক এবার অগম্য রাজ্যের যত অপরূপ কথা, সীমাশূন্য নির্জনের অপূর্ব বারতা । ܠ ܓ যে প্ৰাণ-তরঙ্গমালা রাত্ৰিদিন ধায় সেই প্ৰাণ ছুটিয়াছে বিশ্বদিগবিজয়ে, সেই প্ৰাণ অপরাপ ছন্দে তালে। লয়ে নাচিছে ভুবনে ; সেই প্ৰাণ চুপে চুপে বসুধার মৃত্তিকার প্রতি রোমকৃপে লক্ষ লক্ষ তৃণে তৃণে সঞ্চারে হরযে, বিকাশে পল্লবে পুষ্পে— বরষে বরষে করিতেছি অনুভব, সে অনন্ত প্ৰাণ অঙ্গে অঙ্গে আমারে করেছে মহীয়ান । সেই যুগযুগান্তের বিরাট স্পন্দন আমার নাড়ীতে আজি করিছে নর্তন । ï'ኑ ܘ ܓ দেহে আর মনে প্ৰাণে হয়ে একাকার একি অপরূপ লীলা এ অঙ্গে আমার ! একি জ্যোতি, একি ব্যোম দীপ্ত দীপ-জ্বালা দিবা। আর রজনীর চিরনাট্যশালা ! একি শ্যাম বসুন্ধরা, সমুদ্রে চঞ্চল, অরণ্যে আঁধার । একি বিচিত্র বিশাল Հ ԳՀ)