পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (চতুর্থ খণ্ড) - সুলভ বিশ্বভারতী.pdf/২৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

द५ সুপ্তিমীেন গ্রামপ্রান্তে জননীকুটিরে করিলা প্ৰবেশ । ঘরে সন্ধ্যাদীপ জ্বালা ; পুত্রপথ চাহি ; হেরি তারে বক্ষে টানি আত্মাণ করিয়া শির কহিলেন বাণী কল্যাণকুশল । শুধাইলা সত্যকাম, ‘কহাে গো জননী, মোর পিতার কী নাম, কী বংশে জনম । গিয়াছিনু দীক্ষাতরে গৌতমের কাছে, গুরু কহিলেন মোরে—— বৎস, শুধু ব্ৰাহ্মণের আছে অধিকার ব্ৰহ্মবিদ্যালাভে । মাতঃ, কী গোত্র আমার ?” শুনি কথা, মৃদুকণ্ঠে অবনতমুখে কহিলা জননী, ‘যৌবনে দারিদ্র্যাদুখে বহুপরিচর্যা করি পেয়েছিনু তোরে, গােত্ৰ তব নাহি জানি তাত ।” পরদিন জাগিল প্ৰভাত । যত তাপসবালক শিশির সুস্নিগ্ধ যেন তরুণ আলোক, ভক্তি-অশ্রু-ধৌত যেন নব পুণ্যচ্ছটাি, প্ৰাতঃস্নাত স্নিগ্ধাচ্ছবি আদ্ৰসিক্তজটা, শুচিশোভা সৌম্যমূর্তি সমুজ্জ্বলকায়ে বসেছে বেষ্টন করি বৃদ্ধ বটচ্ছায়ে গুরু গৌতমেরে । বিহঙ্গকাকলিগান, মধুপগুঞ্জনগীতি, জলাকলতান, তারি সাথে উঠিতেছে গম্ভীর মধুর বিচিত্র তরুণ কণ্ঠে সম্মিলিত সুর শান্ত সামগীতি । হেনকালে সত্যকাম কাছে আসি ঋষিপদে করিলা প্ৰণামমেলিয়া উদার আঁখি রহিলা নীরবে । আচার্য আশিস করি শুধাইলা তবে, “কী গোত্র তোমার সৌম্য, প্রিয়দরশন ?” তুলি শির কহিলা বালক, ভগবন, নাহি জানি কী গোত্র আমার । পুছিলাম SG