পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (চতুর্থ খণ্ড) - সুলভ বিশ্বভারতী.pdf/৩০৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

নৈবেদ্য ক্ষমা যেথা স্বাক্ষীণ দুর্বলতা, হে রুদ্র, নিষ্ঠুর যেন হতে পারি তথা তোমার আদেশে । যেন রাসনায় মম। সত্যবাক্য ঝলি উঠে খরখড়গসম । তোমার ইঙ্গিতে । যেন রাখি তব মান তোমার বিচারাসনে লয়ে নিজস্থান । অন্যায় যে করে আর অন্যায় যে সহে তব ঘূণা যেন তারে তৃণসম দহে । as ওরে মীেনামুক, কেন আছিস নীরবে: অন্তর করিয়া রুদ্ধ ? এ মুখর ভাবে তোর কোনো কথা নাই রে আনন্দহীন ? কোনো সত্য পড়ে নাই চোখে ? ওরে দীন, কষ্ঠে নাই কোনাে সংগীতের নব তান ? তোর গৃহপ্ৰান্ত চুম্বি সমুদ্র মহান গাঁহিছে অনন্ত গাথা, পশ্চিমে পুরবে । কত নদী নিরবধি ধায় কলরবে: তরলসংগীতধারা হয়ে মূর্তিমতী । ) শুধু তুমি দেখা নাই সে প্রত্যক্ষ জ্যোতি যাহা সত্যে যাহা গীতে আনন্দে আশায় ফুটে উঠে নব নব বিচিত্র ভাষায় । তব সত্য তব গান রুদ্ধ হয়ে রাজে । রাত্রিদিন জীৰ্ণশাস্ত্ৰে শুষ্কপত্ৰ-মাঝে ! A SQ চিত্ত যেথা ভয়শূন্য, উচ্চ যেথা শিরা, জ্ঞান যেথা মুক্ত, যেথা গৃহের প্রাচীর আপন প্ৰাঙ্গণতলে দিবসশর্বরী । বসুধারে রাখে নাই। খণ্ড ক্ষুদ্র করি, যেথা বাক্য হৃদয়ের উৎসমুখ হতে উচ্ছসিয়া উঠে, যেথা নির্বারিত স্রোতে দেশে দেশে দিশে দিশে কর্মধারা ধায় অজস্ৰ সহস্ৰাবিধ চরিতার্থতায়- ] যেথা তুচ্ছ আচারের মরুবালুরাশি । বিচারের স্রোতঃপথ ফেলে নাই গ্রাসি, পীেরুধেরে করে নি শতধা ; নিত্য যেথা । তুমি সৰ্বকৰ্ম চিন্তা আনন্দের নেতা— Ràdd