পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (চতুর্থ খণ্ড) - সুলভ বিশ্বভারতী.pdf/৩৩২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

\ESS বাহিরের রাজপথ দেখালে আমায়, মনে রয়ে গেল তব নিঃশব্দ বিদায় । । আজি বিশ্বদেবতার চরণ-আশ্রয়ে গৃহলক্ষ্মী দেখা দাও বিশ্বলক্ষ্মী হয়ে । নিখিল নক্ষত্র হতে কিরণের রেখা সীমন্তে আঁকিয়া দিক সিন্দূরের লেখা । একান্তে বসিয়া আজি করিতেছি। ধ্যান সবার কল্যাণে হোক তোমার কল্যাণ । Գ যত দিন কাছে ছিলে বলো কী উপায়ে আপনারে রেখেছিলে এমন লুকায়ে ? : ছিলে তুমি আপনার কর্মের পশ্চাতে অন্তর্যামী বিধাতার চোখের সাক্ষাতে । প্ৰতি দণ্ড-মুহুর্তের অন্তরাল দিয়া নিঃশব্দে চলিয়া গেছ নম্র-নিত-হিয়া । আপন সংসারখানি করিয়া প্ৰকাশ আপনি ধরিয়াছিলে কী অজ্ঞাতবাস ! আজি যবে চলি গেলে খুলিয়া দুয়ার পরিপূর্ণ রূপখানি দেখালে তোমার । জীবনের সব দিন সব খণ্ড কাজ ছিন্ন হয়ে পদতলে পড়ি গেল। আজ । তব দৃষ্টিখানি আজি বহে চিরদিন চির-জনমের দেখা পালকবিহীন । br মিলন সম্পূর্ণ আজি হল তোমা-সনে এ বিচ্ছেদবেদনার নিবিড় বন্ধনে । এসেছ একান্ত কাছে, ছাড়ি দেশকাল হৃদয়ে মিশায়ে গেছ ভাঙি অন্তরাল । তোমারি নয়নে আজ হেরিতেছি সব, তোমারি বেদনা বিশ্বে করি অনুভব । তোমারি কামনা মোর কামনার মাঝে । দুজনের কথা দোহে শেষ করি লব । সে রাত্রে ঘটে নি হেন অবকাশ তব । বাণীহীন বিদায়ের সেই বেদনায় । চারি দিকে চাহিয়াছি ব্যৰ্থ বাসনায় । আজি এ হৃদয়ে সর্ব-ভাবনার নীচে - তোমার আমার বাণী একত্রে মিলিছে।